শিরোনাম
জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা রাজবাড়ীতে ২১০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-২

রাজবাড়ী-২ আসনে পাংশা-কালুখালী-বালিয়াকান্দি উপজেলায় শােকাবহ জেল হত্যা দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৪৭০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০

0Shares

রাজবাড়ী -২ আসনের পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার শােকাবহ জেল হত্যা দিবস পালিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে মিল রেখেই সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরন, কালাে পতাকা উত্তোলন এবং কালােব্যাচ ধারন করে।

উপজেলা ভিত্তিক শােকাবহ জেল হত্যা দিবসের আলােচনা সভায় কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মােঃ
আতিউর রহমান নবাব বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মম হত্যার শিকার হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এইচএম কামারুজ্জামান। জাতীয় চার নেতার হত্যাকান্ড ছিল জাতির পিতাকে
সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় এ ঘৃন্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশবিরােধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। আলােচনা সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও উপজেলা
চেয়ারম্যান আলীউজ্জামান চৌধুরী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুমন, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মনিরুজ্জামান চৌধূরী মবি ও যুগ্ম আহবায়ক সােহেল আলী মােল্লা বক্তব্য রাখেন। এ সময়ে সকল সহযােগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সুশিল সমাজের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পাংশা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, ষড়যন্ত্র, ক্ষমতাদখল, পাল্টা দখলের অপচেষ্টায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়। ৪৫ বছর আগের নৃশংস এ ঘটনায় করা মামলাটি জেলহত্যা মামলা নামেই পরিচিত। মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৩ জন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ও ৮ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। এখনাে ১০ জন পলাতক। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা:
এএফএম শফিউদ্দিন পাতা, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ সরদার, সিনিয়র সহসভাপতি রেজা আহমেদ, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সকল নেতৃবৃন্দসহ সকল সহযােগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ হান্নান বলেন কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় ৪ নেতাকে নৃশংস হত্যাযঙ্গের পরদিন ৪ নভেম্বর তৎকালীন করা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সেনাবাহিনীর রিসালদার মােসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে চার-পাঁচজনের একটি দল কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে গুলি
করে হত্যা করার পর বেয়নেট দিয়ে ঘুচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে বলে এজাহারে উল্লেখ আছে। মামলা হলেও তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আবার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসারপর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক শামসুল আলম সুফি, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান আনিস, সাধারন সম্পাদক সােহেল মাহমুদ মন্টু, যুবলীগের আহবায়ক রাসেল খান রিজু বক্তব্য রাখেন।

সহযােগী সংগঠনের সকল নেতা কর্মীরা আলােচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। আলােচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলের আয়ােজন করে স্ব-স্ব উপজেলার নেতৃবন্দ।

জুলফিকার আলী

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg