আজ রাজবাড়ীর কোর্ট হাজতে ৩টি মামলার কাস্টাডি ওয়ারেন্টের আসামী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃত আসামী আলামিন মণ্ডল (৩২) রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের রূপিয়াট গ্রামের আজিজ মণ্ডলের ছেলে।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “নিহত হাজতী আসামী আলামিন মণ্ডলের নামে পাংশা থানার ২টি অস্ত্র ও ১টি মারামারির মামলা রয়েছ। সে গত ৩ আগষ্ট থেকে রাজবাড়ী জেলা কারাগারে বন্দী ছলেন। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) মামলার ধার্য্য তারিখ থাকায় অন্যান্য ১০-১২জন আসামীর সাথে আলামীনকেও বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে কারাগার থেকে কোর্ট হাজতে আনা হয়। হাজিরার জন্য বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে সঙ্গীয় অন্যান্য আসামীদের সাথে রাজবাড়ীর প্রথম যুগ্ম-দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করা হয়। হাজিরা শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তাকে পুনরায় কোর্টের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়।
মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, কিছুক্ষণ পর জেলখানায় ফিরিয়ে নিতে হাজত খানার ইনচার্জ এটিএসআই ওমর ফারুক যখন হাজিরা খাতা নিয়ে আসামীদের ডাকছিলেন তখন আলামিন মণ্ডলের কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে সে একজন কনস্টেবলকে সাথে নিয়ে হাজতখানার ভিতরে ঢুকে দেখতে পান পশ্চিম পাশের শৌচাগারের ভিতর নিজের পরিধেয় লুঙ্গীর পাড় ছিঁড়ে পানির লাইনের অ্যাঙ্গেলের সাথে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানানোর পর আদালতের ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকেও (ডিসি) বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ী কোর্ট হাজত খানার ইনচার্জ এটিএসআই ওমর ফারুক বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
আসামীর পরিবারকে মৃত্যুর বিষয়ে কিছু জানানো হয়েছে কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। থানা থেকে আসামীর পরিবারে জানানো হবে এবং তারা এসেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাবে।”