২৬ অক্টোবর সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮ টার সময় রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের ১ নং সহ-সভাপতি নাহিদুল আলম রাজু(২৮)কে জেলা শহরের বেড়াডাঙ্গার নিজ বাসার কার্যালয় থেকে ডিবি পুলিশের একটা দল গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে শহরের বেড়াডাঙ্গা এলাকার জিসান নামে ছাত্রলীগের এক নেতার সাথে রাজুর মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাজুর বিরুদ্ধে একটা হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন নাহিদুল আলম রাজু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁকে তার বাসার নিজ কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এরশাদ রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে বলেন, ‘নাহিদুল আলম রাজু ও জিসান ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন। নাহিদুল আলম জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছিল। তবে পরে মীমাংসা হয়ে গেছে।
ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বদিয়ার রহমান জানান, নাহিদুল আলম, জিসান হত্যাচেষ্টা মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন। তাঁকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, জিসান হত্যাচেষ্টা মামলায় নাহিদুল আলমকে ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হয়।
নাহিদুল আলম রাজুকে আদালতে তোলা হলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় বিজ্ঞ আদালত তাকে জামিন দিয়ে জেল হাজত থেকে মুক্তি দেন।
ফিরোজ আহমেদ
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি