মিরপুরে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ষষ্ঠ ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নাজমুল একাদশ।দলীয় ৯ রানেই হারান সৌম্য সরকারকে। এরপরই দলীয় ১৯ রানে পারভেজ হোসেন ইমনের বিদায়ের পর রানের চাপটা পরে যায় মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। তবে তেমন কিছুই করতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বেক্তিগত ৫ রান করে আউট হয়ে জান তিনিও।সাবধানী ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় সামলানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেন। তাদের ইনিংস যখন ধিরে ধিরে তৈরি হচ্ছিল তখনই বাধা হয়ে দাড়ায় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪১ ওভারে। এরপর খেলা শুরু হলে আসরে এর আগে একটি করে শতক ও অর্ধশতক হাঁকানো মুশফিক এই ম্যাচেও বিদায় নেওয়ার আগে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। ৭৫ বলে ৫১ রান করে বিদায় নেন তিনি।ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ৪টি চারে ৬১ বলে ৪০ রানের ইনিংস থামে আফিফের। দেখা পাননি পঞ্চাশের। তাদের বিদায়ের পরই সাইফউদ্দিন-মুস্তাফিজ তান্ডব চালায়। ৩৯.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে নাজমুল একাদশ।জড়ো করে ১৬৫ রান। একাই পাঁচটি উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া মুস্তাফিজ তিনটি ও মেহেদী দুটি উইকেট শিকার করেন।
ডাকওয়ার্থলুইস পদ্ধতিতে তামিম একাদশের লক্ষ্য দাড়ায় ১৬৪ রান।লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই তাসকিনের শিকার হয়ে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়।তবে এরপরই মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে যুটি গড়েন তামিম।অঙ্কন ২২ রান করে বিদায় নিলেও তামিম তুলে নেন অর্ধশতক। ৮৫ বলে ৬টি চারের মাধ্যমে ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক।এরপরই রানের গতি কমে যায়।প্রয়োজন মারমুখো ব্যাটিং,আর ঠিক তখনই ইয়াসির আলি রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তামিম একাদশ।শেষদিকে মোহাম্মদ মিঠুন চেষ্টা করলেও ২৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি।মেহেদী হাসান করে ১০ বলে ৪ ও আকবর আলি ৭ বলে ১।৪০.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে তামিম একাদশ। শেষে ৭ রানের কমতিতে ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে তামিমের দল।ফাইনাল নিশ্চিত করে নাজমুল একাদশ।নাজমুল একাদশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ একাই শিকার করেন ৪টি উইকেট। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন আল আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, নাসুম আহমেদ ও সৌম্য সরকার।
প্লেয়ার অফ দা ম্যাচ হন তাসকিন আহমেদ।
শিহাবুর রহমান তিমন