জহুরুল ইসলাম হালিম // রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে সরকারী কাজে বাঁধা প্রদান ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারপিটের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মো. মমিন শেখকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ওমর আলী মোল্লার পাড়া গ্রামের মো. হামেদ শেখের ছেলে। এ ছাড়াও সে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক ও ‘এস’ টিভি চ্যানেলসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক এবং গোয়ালন্দ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মারপিটের শিকার পুলিশের কনস্টেবল মীর ইয়াসিন আলী বাদি হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ট্রাফিক পুলিশের রেকার চালক কনস্টেবল মীর ইয়াছিন আলী মঙ্গলবার রাত ৮টায় দৌলতদিয়ায় তিনি সরকারী রেকারে বিল প্রস্তুত করছিলেন। এসময় মমিন শেখের নেতৃত্বে কয়েক যুবক এ কাজে বাঁধা প্রদান করেন। সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারপিট করে। এসময় আশপাশের লোকজন ও অপর পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে আসলে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও মমিন শেখকে আটক করে। এ সময় মীর ইয়াছিন আলীকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন।এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে মমিন শেখসহ পলাতক আসামি সাংবাদিক সোহাগ মিয়া, সোহেল রানা চৌধুরী ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে কনস্টেবল মীর ইয়াসিন আলী ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৫৩/৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন মামলা নং ১৭ তাং ২০/১০/২০২০ ইং। আটক মমিন শেখকে রাজবাড়ীর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ ও অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজিব রাজবাড়ী টেলিগ্রাফকে বলেন, আমি যতদুর জানি পুলিশের সাথে একটা ভুল বুঝাবুঝির কারণে তাকে আটক করা হয়। কোন চাঁদাবাজি নিয়ে তাকে আটক করা হয় নাই।