জহুরুল ইসলাম হালিম॥ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারী অধিকাংশ ফেরি বহু বছরের পুরনো। নদীতে বয়ে যাওয়া স্রোতের মুখে সার্বক্ষণিক সচল রাখতে গিয়ে ইঞ্জিন
সমস্যাসহ বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়ায় ফেরিগুলো ঘন ঘন বিকল হয়ে পড়ছে। এ কারণে এই নৌপথে লেগে থাকা ফেরির সংকট সহসা কাটছে না।
আজ সোমবার আমানত শাহ্ নামের একটি রো রো (বড়) ফেরি হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। মেরামতের জন্য ওই ফেরিটি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা ‘মধুমতিতে’ রাখা হয়েছে। ঘাটের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যাক ফেরি না থাকায় সেখানে স্বাভাবিক ফেরিপারাপার ব্যহত হচ্ছে।
এদিকে নৌপথের দৌলতদিয়ায় ছয়টি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমান চারটি ঘাট সচল রয়েছে। অপর ১ ও ২ নম্বর ঘাট দুটি গত এক বছর যাবত বন্ধ হয়ে আছে। ছয়টি ঘাটের দুটি বন্ধ থাকায় সেখানে ঘাট সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি পদ্মাা নদীর পানি কমে যাওয়ায় চালু থাকা চারটি ঘাটের পন্টুন হাই ওয়াটার লেভেল থেকে পর্যায়ক্রমে সেগুলো মিড ওয়াটার লেভেলে নামানোর কাজ চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএ।
সোমবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের গুরুত্বপূর্ণ ৫ নম্বর ঘাটপন্টুন হাইওয়াটার
লেভেল থেকে মিডওয়াটারে নামানো হয়। এ কাজের জন্য টানা তিন ঘন্টা ওই ঘাটটি বন্ধ ছিল। এ সময় চালু থাকা অপর তিনটি ঘাট দিয়ে কোনরকমে গাড়িগুলো ফেরি পারাপার করা হয়। ফেরি সংকট, ঘাট সমস্যার পাশাপাশি ঢাকাগামী বিভিন্ন গাড়ির চাপ বেড়ে আজ সোমবার দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরিপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে ঢাকাগামী বিভিন্ন পণ্যবোঝাই শত শত ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান।
এতে ঘাটের জিরোপয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত চার কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। মাত্র তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ওই নৌপথ পাড়ি দিতে এসে ফেরির টিকিট সিরিয়ালে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকায় সংশ্লিষ্ট ট্রাকচালকরা এ সময় ভোগান্তির শিকার হন।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে “রাজবাড়ী টেলিগ্রাফকে” বলেন, ‘মানুষের দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী বিভিন্ন গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফেরিপার করায় দৌলতদিয়া ঘাটে পণ্যবাহী ওই ট্রাকগুলো সিরিয়ালে আটকা পড়েছে।’ তবে, আটকে পড়া ওই ট্রাকগুলো সোমবার রাতের মধ্যে ফেরিপার করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।