আজ ৯ অক্টোবর ২৫তম বিশ্ব ডিম দিবস। আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন, সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। ডিম প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ডিমের গুরুত্ব দিন দিনই বাড়ছে।
এবারের ডিম দিবস উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ একত্রে সারা দেশে অনলাইনের আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ এগ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মীর আবদুল্লাহ বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে প্রাণিসম্পদ খাত। উপ-খাত হিসেবে পোলট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কারণ, ডিম এবং মাংস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের প্রোটিন ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। জিডিপিতে এ উপ-খাতের অবদান ২.৬৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ খাতের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৩.৯৮ শতাংশ। বর্তমানে দেশের পোলট্রি শিল্প থেকে প্রতিদিন ৫ কোটি ডিমের জোগান আসছে।
পুষ্টিবিদরা জানান, ডিমে সুলভমূল্যে উচ্চমাত্রার প্রোটিন পাওয়া যায়। পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। বিশ্বজুড়ে প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে ডিমের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা প্রচার করা হয় এই দিনে।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে ডিম খায় গড়ে মাত্র ৪৫-৫০টি। অথচ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্যানুযায়ী, বছরে একজন মানুষের ন্যূনতম ১০৪টি ডিম খাওয়া উচিত।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রতিদিন একজন মানুষকে অন্তত একটি করে ডিম খাওয়া উচিত।