গত শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাত ০২:৩০ দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে সুমন নামের এক যুবককে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে গুরুত্বর জখম করা হয়। সুমনের বাড়ি ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের স্বরুপারচর গ্রামে। তার পিতা, মোঃ মনির শেখ। সুমন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।এই ঘটনায় সুমনের বাবা মোঃ মনির শেখ বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটা হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছে।
মামলার এজাহারে সুমনের পিতা, মোঃ মনির শেখ উল্যেখ করেন, আমার ছেলে সুমন শেখ (২২) দৌলতদিয়া ঘাটে গাড়ী চেকারের কাজ করে, উক্ত কাজের সুত্র ধরে, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়া গ্রামের, বিবাদী ১. ইমন সরদার (২০), ২. ঘলিল সরদার(৪০) ও নুরু মন্ডল পাড়া গ্রামের ৩. মাসুদ ব্যাপারি (২৭) সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের সহিত আমার ছেলের বিরোধ সৃষ্টি হয়। ১ অক্টোবর সন্ধ্যার পর থেকে আমার ছেলে দৌলতদিয়া ঘাটে চেকারের কাজে নিয়োজিত ছিলো, ২ অক্টোবর রাত অনুমান ০২:৩০ ঘটিকার সময় আমার ছেলে দৌলতদিয়া ২ নং ফেরীঘাট সংলগ্ন জাকের পার্টি অফিসের সামনে পৌছালে উপরোক্ত বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন পূর্ব বিরোধের জের ধরে হাতে ধারালো চাকু ও লোহার রড নিয়ে আমার ছেলের নিকট এসে আমার ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে, আমার ছেলে বিবাদীর গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ইমন সরদার ধারালো চাকু দিয়ে আমার ছেলেকে খুন করার উদ্দেশ্যে গলায় পোচ দিয়ে গুরুত্বর জখম করে। আমার ছেলে মাটিতে পড়ে গেলে অজ্ঞাতনামা যুবকরা লোহার রড দিয়ে আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী বারি মেরে জখম করে। আমার ছেলের প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১০,০০০ টাকা নিয়ে যায়। আমার ছেলের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ইমন সহ বিবাদীগন আমার ছেলেকে সুযোগ মত পেলে খুন জখম করে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন আমার ছেলেকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন, পরে অবস্থা আরো গুরুত্বর হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আমার ছেলে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ঘটনার বিষয়ে অনেকেই অবগত আছে। আমার ছেলে কিছুটা সুস্থ হলে আমি তার নিকট ঘটনার বিস্তারিত শুনে এবং ঘটনার বিষয়ে আত্বিয় স্বজনের সাথে আলোচনা করে থানায় এসে অভিযোগ দিতে বিলম্ব হয়।
সুমনের বাবা রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে বলেন, আমার ছেলেকে যারা হত্যার উদ্যেশ্যে হামলা করেছিল আমি তাদের দ্রুত আটক ও শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি), মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-তায়াবীর বলেন, দৌলতদিয়ায় সুমন নামের যুবককে খুন করার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুত্বর জখম, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে খুব দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।
ফিরোজ আহমেদ
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি