রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামীলিগ নেতা মিজানুর রহমান ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি ও রাজবাড়ী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রবিউল ইসলাম খন্দকার সহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন ফাতেমা বেগম নামের একজন ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য।
মামলার বিবরণীতে উল্ল্যেখ করা হয়, স্থানীয় বিবাদ এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামলার বাদী ফাতেমা বেগমের প্রতিপক্ষ তাকে হেয় করে এবং ব্যাক্তিগত আক্রামন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণা চালায়।
মামলার বাদী আরো উল্ল্যেখ করেন, তার প্রতিপক্ষ অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের ম্যানেজ করেন তার বিপক্ষে তথ্য উপস্থাপনের জন্য।
তিনি মামলার ৩ এবং ৬ নং আসামী করেন ২ জন সাংবাদিক কে। দৈনিক প্রতিদিনের সাংবাদিক রবিউল ইসলাম খন্দকারকে করা হয় ৬ নং আসামি।
এ বিষয়ে রবিউল খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এই মামলা টি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক আমি কোন মিথ্য বা বানোয়াট সংবাদ উপস্থাপন করি নাই। অর্থের বিনিময়ে কাউকে হেয় করার কোন প্রশ্নই আসে না। আমার করা প্রতিবেদনে আমি কোন তথ্য বা বক্তব্য প্রদান করি নাই। প্রতিবেদনে যেসকল বক্তব্য রয়েছে সকল বক্তব্যই স্থানীয় সাধারন মানুষের দেওয়া। আমি শুধুমাত্র সেগুলো উপস্থাপন করেছি। ”
তিনি আরো বলেন, “একটি কুচক্রী মহল আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আমার নামে বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করছে। সম্প্রতি সময়ে আমি বেশ কিছু সংবাদ প্রতিবেদন করেছি যেটি কিছু মানুষের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তারা ষড়যন্ত্র করে আমার নামে এসমস্ত বানোয়াট মামলা এবং অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার রোধে আইনের সহায়তা নেবেন বলে রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে জানান। তিনি বলেন, আমি এসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
উল্লেখ্য তার নামে এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সুশীল ও সাংবাদিক সমাজের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা জ্ঞাপন করেছে।