গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন ৭০ হাজার ৫৯৬ কর্মী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কর্মী ফেরত এসেছেন সৌদি আরব থেকে ১৮ হাজার ৩৫৯ জন।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি দেশ আরব আমিরাত থেকে ফিরেছেন ১৪ হাজার ৯০২ জন। করোনাকালে ১ এপ্রিল থেকে ছয় মাসে দেশে ফেরত এসেছেন এক লাখ ৬৫৮ জন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কাতার থেকে ফেরত এসেছেন ৭ হাজার ১৪২ জন।
সবমিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সেপ্টেম্বরে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী ফিরেছেন। সেই সাথে গত মাসে নারী কর্মী ফিরেছেন ১০ হাজার।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এক লাখ ৩৫ হাজার ১১৫ কর্মী ফিরেছেন শুধু পাসপোর্ট নিয়ে। তাদের বড় অংশ ফেরত এসেছেন চাকরি না থাকায়। আবার কাজে ফিরে যাবেন- এমন কর্মীর সংখ্যা নগণ্য। বাকি ৩০ হাজার ৫৪৩ জন ফিরেছেন আউট পাস নিয়ে। তারা বিদেশে চাকরি করতে গিয়ে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধ কর্মী হয়ে গিয়েছিলেন। আউট পাসধারীদের কয়েকশ ফিরেছেন কারাভোগ শেষে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাইরে সবচেয়ে বেশি কর্মী ফেরত এসেছেন মালয়েশিয়া থেকে। সেপ্টেম্বরে দেশটি থেকে চার হাজার ৫৮৯ জন ফেরত এসেছেন। তাদের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাজ হারানোর কারণে কর্মীরা চলে আসছেন। সবমিলিয়ে মালয়েশিয়া থেকে করোনাকালে সাত হাজার ৫৬৮ জন ফেরত এসেছেন।
বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত লেবানন থেকে সেপ্টেম্বরে চার হাজার ১৯ কর্মী ফেরত এসেছেন। দেশ কাঁপানো বৈরুত বিস্ম্ফোরণের পর আরব দুনিয়ার এ দেশ থেকে দুই মাসে পাঁচ হাজার ৮০১ জন ফেরত এসেছেন। তাদের বড় অংশই ফিরেছেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায়।
আউট পাসধারী এমন কর্মীর সংখ্যা তিন হাজার ৫৯০ জন। ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ থেকে করোনাকালে ফেরত এসেছেন ১০ হাজার ৪৮৩ জন। সেপ্টেম্বরে দেশটি থেকে ফিরেছেন প্রায় দুই হাজার কর্মী। প্রতিবেদনে তাদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, করোনায় পর্যটননির্ভর মালদ্বীপের অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যুদস্ত। তাই নিয়োগকারীরা কর্মীদের ফেরত পাঠাচ্ছেন।