টাইগার স্পিডস্টার তাসকিন আহমেদের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় অনেকটা রাজকীয়ভাবে। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই ১৯ বছর বয়সে তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এরপর একের পর এক সিরিজে চলে তার রাজত্ব এবং তিনি হয়ে ওঠেন টাইগার পেস এটাকের অন্যতম এক ভরসার নাম।
তবে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালীন আইসিসি তাসকিনের একশন অবৈধ ঘোষণা করার পর পরই তিনি হোঁচট খান। পরবর্তীতে একশন পুনরায় শুধরে আবারও জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও তিনি ভরসার প্রতিদান দিতে পারছিলেন না।যার ফল ২০১৮ সালের পর আর জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি তাসকিনকে। মাঝে ঘরোয়া লীগ কিংবা বিপিএল এ ভালো পার্ফরমেন্স এর পর জাতীয় দলে ডাক পেলেও ইঞ্জুরির কারণে আর মাঠে নামা হয়নি।
তবে করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনকে বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন তাসকিন।নিজের ফিটনেসের দিকে বাড়তি নজর রেখে বোলিং স্কিল নিয়ে কাজ করছেন নিয়মিত। যার ফলও একটু একটু করে মিলতে শুরু করেছে। একটানা একই লাইন লেন্থে বল করতে এখন অনেকটাই সাবলীল তিনি। যার সাথে সাথে ধার বেড়েছে গতি ও সুইংয়েরও। এক কথায় লংগার ভার্সনের জন্য একেবারে পার্ফেক্ট প্যাকেজে নিজেকে পরিণত করার জন্য মরিয়া তাসকিন। শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও তা পুষিয়ে নিতে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন তিনি। নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ২ উইকেট নিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে বড় আশা দেখছেন তিনি।
মারুফ
ঢাকা প্রতিনিধি