বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা আয়োজনে আসন্ন শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক এক বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাজবাড়ী সদরে লক্ষ্ণীকোল হরিসভা মন্দিরে এই মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শ্রী অরুন কুমার সরকার, সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা।
সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা ডাঃ সমীর কুমার দাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রী প্রদিপ্ত চক্রবর্তী কান্ত, সভাপতি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, রাজবাড়ী জেলা শাখা।
বক্তব্য রাখেন স্বপন কুমার দাস সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবুপদ বিশ্বাস, উপদেষ্টা বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা, শ্রী উপেন্দ্র নাথ রায় সহ-সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা, সুশিল দত্ত (তাপস)সহ-সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা, সুজিত কুমার নন্দী সহ-সভাপতি বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী সদর উপজেলা শাখা, কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব দে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্যে রাখেন,গোপাল চন্দ্র সাহা সাধারণ সম্পাদক রাধাগোবিন্দ জিউঁর মন্দির, উৎপল সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্ণীকোল হরিসভা মন্দির, প্রমুখ।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন, রাজবাড়ী সদরের বিভিন্ন মন্দির কমিটির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিপ্লব কুমার সাহা সাধারণ সম্পাদক পূজা উদযাপন পরিষদ রাজবাড়ী পৌর শাখা।
প্রধান অতিথি মতবিনিময় সভাতে বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস চলমান সময়ে কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা নিয়ম নীতি অনুসরন করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত ভাবে পূজা উদযাপন করাতে বলা হয়। পূজাতে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো যাবেনা। সবাইকে মাস্ক পরিধান করে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে। মন্দির কমিটির নিজ উদ্যোগে জীবানুনাশক স্প্রে রাখতে হবে৷ কোন গেট তৈরি করা যাবে না, আলোকসজ্জা করা যাবে না শুধু মাত্র সাদা লাইট ব্যবহার করতে হবে। নারী-পুরুষ আলাদা প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতীমা বিসর্জন স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ বিপদে আপদে সব সময় সকলের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করে। কোন মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্য পেলে সাথে সাথে আমরা ছুটে গিয়েছি সেখানে । এ কাজে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম আমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করেছেন। যখনই আমরা ফোন করেছে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এক গাড়ি পুলিশ আমাদের সাথে দিয়েছেন। করোনাকালীন এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম সব সময় আমাদের খোজ খবর নিয়েছেন। তার সাধ্যমতো আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমারা তার কাছে যখন যে সহযোগিতা চেয়েছি সাথে সাথে পেয়েছি।
মত বিনিময় সভাতে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ নেতৃবৃন্দ।