জহুরুল ইসলাম (হালিম)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকায় নদীরপাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে ভাঙন হুমকির মুখোমুখি হয়ে আছে ৩ নম্বর ফেরীঘাট ও পাশের সিদ্দিক কাজীপাড়া গ্রাম। কবলে পড়ে ওই গ্রাম সহ গুরুত্বপূর্ণ ঘাটটি পদ্মায় বিলীন
হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফেরীঘাট রক্ষায় সেখানে বালুভরা বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চালাচ্ছে বিআইডাব্লিউটিএ।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়া ফেরীঘাট নদী ভাঙন প্রবণ এলাকা। নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর সেখানে ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয় একাধিক ঘাট। গত বছর অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়। টানা ১৮ দিন ভাঙন অব্যাহত থাকায় তখন ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয় ১, ২ ও ৩ নম্বর ফেরীঘাট। পাশাপাশি বিলীন হয় পাশের সিদ্দিক কাজী পাড়া ও মজিদ শেখেরপাড়া গ্রামের কয়েক’শ পরিবারের বসতবাড়ির ভিটেমাটিসহ অসংখ্য গাছপালা। পরে মেরামত করে ৩ নম্বর ঘাট চালু করা হলেও অপর ১ ও ২ নম্বর ঘাট দুটি এখনো বন্ধ রয়েছে। এদিকে গত কয়েক দিন যাবত পদ্মা নদীর পানি ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে বাড়ছে স্রোতের গতিবেগ। প্রবল
স্রোতের ঘুর্ণিপাকে দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকায় নদীর পাড় ভাঙন শুরু হয়েছে। সেখানে ভাঙন হুমকির মুখোমুখি হয়ে আছে গুরুত্বপূর্ণ ৩ নম্বর ফেরিঘাটসহ পাশের সিদ্দিক কাজী পাড়া গ্রাম।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারি ব্যাবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন সরদার জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। এতে মুখোমুখি থাকা গুরুত্বপূর্ণ ৩ নম্বর ফেরি ঘাটটি পদ্মায় বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে স্থানীয় দৌলতদিয়া ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন,দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরীঘাট এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেওয়ায় পাশের সিদ্দিক কাজীরপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের মনে এখন ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।
বিআইডাব্লিউটিএ’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. শাহ্দাত আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে “রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ” কে বলেন, ‘পদ্মায় পানির প্রবল স্রোত ও ঘুর্ণিপাকে দৌলতদিয়া ফেরীঘাট এলাকায় নদীর পাড়ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভানরোধে সেখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের দ্রুত কাজ চলছে।’তিনি আরো জানান, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটকে আধুনিকায়ন করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে চার কিলোমিটার উজানে এবং দুই কিলোমিটার ভাটিপথে নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মান করা হবে। এতে প্রতি বছর ভাঙনের হাত থেকে দৌলতদিয়া ফেরী ও লঞ্চঘাট স্থায়ী ভাবে রক্ষা পাবে।