পাংশা উপজেলা প্রকৌশলীর ব্যর্থতায় গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাতিল

নিউজ ডেস্ক | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৭৮১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

0Shares

পাংশা উপজেলা প্রকৌশলীর ব্যর্থতায় গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের ৫ টি স্কীমের ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার কাজ শেষ না হওয়ায় চলতি অর্থ বছরের ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাতিল।

রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের ব্যর্থতায় গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের ৫ টি স্কীমের চুক্তি মূল্য ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৪ টাকার কাজ গত অর্থ বছরের ৩০ জুন মেষ না হওয়ায় চলতি অর্থ বছরে পাংশা উপজেলায় এলজিডির গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাতিল করেছে কতৃপক্ষ।

প্রধান প্রকৌশলীর সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীদের ভার্চুয়াল মিটিং এ ভৌত কাজের ও আর্থিক খরচের গড় অগ্রগতি কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে বিমল কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি, রাজবাড়ী, স্মারক নং: ৯৯.০০৫.১৫-১৫২১ এ তাং- ৮জুন ২০২০ উপজেলা প্রকৌশলী, পাংশাকে লেখা অতিব জরুরি পত্রে সতর্ক করেছেন। উক্ত স্মারক পত্রের বিষয় ছিল- ২০১৯-২০ ইং অর্থবছরে “মেরামত ও সংরক্ষণ ”- এর অধীন “গ্রামীন সড়ক”- এর আওতায় গৃহীত কাজের গতি তরান্বিত করে জুন/২০২০ এর মধ্যে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন প্রসঙ্গে। সূত্র: অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রক্ষণাবেক্ষণ মহোদয়ের স্মারক নং: ৪৬.০২.০০০০.২০২.৯৯.০০১.১৯-৯১৫,তারিখ ৩ জুন ২০২০ ইং।
নিবার্হী প্রকৌশলী রাজবাড়ী স্বাক্ষরিত পত্রে তিনি পাংশার উপজেলা প্রকৌশলীকে লিখেছেন ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গ্রামীন সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আপনার উপজেলায় গৃহিত ৫টি স্কীমের চুক্তিমূল্য ৮ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৯৫ টাকা নির্ধারিত হয়। ৩০ শে জুন ২০২০ এর মধ্যে কাজগুলো সমাপ্ত করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত ১ টি কাজও সমাপ্ত করতে পারেন নাই এবং চলমান কাজগুলির অগ্রগতি কম হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অগ্রগতি তরান্বিত করে অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন সহ ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি অসন্তোষজনক পর্যায়ে উন্নীত করার নির্দেশনা প্রদান করেন। গ্রামীন সড়ক এর কাজ জুন/২০২০ইং মধ্যে অবশিষ্ট কাজ বাস্তবায়ন করত; আপনার উপজেলার তথা রাজবাড়ী জেলার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করাসহ এলজিইডির সুনাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হ্রহনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
এই চিঠির অনুলিপি দিয়েছেন, প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রক্ষণাবেক্ষণ, এলজিইডি ভবন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা বিভাগ ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ফরিদপুর অঞ্চল, ফরিদপুর কে। ৫টি কাজই ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করতে না পারায় চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত প্রায় ১০ কোটি টাকার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে বলে এলজিডি সূত্রে জানা গেছে। এতে করে পাংশাবাসী প্রায় ২০ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক মেরামত ও সংস্কারের কাজ থেকে বঞ্চিত হলো। রাস্তা গুলোর যে করুন দশা তা স্বচক্ষে না দেখলে কেউই অনুধাবন করতে পারবেন না।
পাংমা হতে সেনগ্রাম সড়ক, পাংশা হতে মাছপাড়া সড়ক, পাংশা কলেজ মোড় হতে পাংশা টেম্পু ষ্ট্যান্ড,রুপিয়াট মাদ্রাসা হতে বাগদুলী পোষ্ট অফিস সড়ক সহ অসংখ্য সড়কের বেহাল দশা।জনদূর্ভোগে জনমনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। তারপর এ অর্থ বরাদ্দ বাতিল হওয়ায় জনমনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর বাড়ি পাশের জেলা কুষ্টিয়াতে। সাইডে তো আসেই না বরং ঠিকাদারদের প্রয়োজন হলে তিনি ফোন ধরতে বিরক্ত বোধ করেন। এতে এলজিইডি বনাম ঠিকাদারদের মধ্যে বড় ধরনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।ফলে কাজের অগ্রগতির এই দশা। তার টিমের সকল সদস্যদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। সকালে ইচ্ছে মতো আসে বিকেল হওয়ার আগেই সবাই চলে যান কুষ্টিয়াতে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে এ বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নির্বাহী প্রকৌশলীর দেয়া এরকম চিঠি তিনি পাননি। করোনা কালিন সময়ে কাজ বন্ধ থাকায় এরকম হয়েছে।

জুলফিকার আলী

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg