গোয়ালন্দ সহ একশ’ উপজেলায় নির্মিত হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র

সম্পাদকীয় | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৩৮১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

0Shares

ঢাকা মহানগর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যার অংশ হিসেবে দেশের প্রত্যেক উপজেলায় নির্মিত হতে যাচ্ছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

প্রাথমিক পর্যায়ে একশটি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হবে। যার বাস্তবায়ন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর থেকেই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যার শেষ হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে।

তবে চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এ সময়সীমা বাড়বে।
প্রাথমিকভাবে একশটি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

পর্যায়ক্রমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রত্যেকটিতেই তৈরি করা হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
এ বিষয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এর তথ্যমতে, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০টি উপজেলায় এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরি করার কথা, কিন্ত করোনা পরিস্তিতি অনিয়ন্ত্রিত হওয়ায় পূর্বের অনেক সিন্ধান্তই মুখ থুবড়ে পড়েছে।

জানা গেছে, চারতলা করে নির্মিত হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটি ভবন। যাতে থাকবে তিন থেকে চারশ আসনের আধুনিক মিলনায়তন। মিলনায়তনের উপরে থাকবে ১৫০ আসনের মাল্টিপারপাস হল, যেখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে। থাকবে অ্যাম্ফিথিয়েটার বা মুক্ত মঞ্চ। আরও থাকছে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গ্রন্থাগার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে গণপূর্ণ অধিদপ্তর।

প্রথম যে একশ উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হবে; তার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ, সাভার, দোহার, ধামরাই ও নবাবগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া, টাঙ্গাইলের নাগপুর, ঘাটাইল, সখিপুর, কালিহাতি, ধনবাড়ী ও মধুপুর, গাজীপুরের কালীগঞ্জ, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া, ফরিদপুরের মধুখালী, নগরকান্দা, চরভদ্রাসন, শরীয়তপুরের নড়িয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও বালিয়াকান্দি, মাদারীপুরের শিবচর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, মুক্তাগাছা, জামালপুরের বকশীগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও মেলান্দহ, নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি, আটপাড়া, কেন্দুয়া ও দুর্গাপুর, শেরপুরের নালিতাবাড়ী, রাজশাহীর দুর্গাপুর, গোদাগাড়ী ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি ও খেতলাল, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, বগুড়ার শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলায়, নঁওগার মহাদেবপুর, আত্রাই, ধামইরহাট, মান্দা, নিয়ামতপুর, সাপাহার ও পত্নীতলা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, পঞ্চগড়ের বোদা, তেঁতুলিয়া, দেবীধস, নীলফামারীর জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও ডোমার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ, খানসামা, ঘোড়াঘাট ও কাহারোল, কুড়িগ্রামের রাজিবপুর, উলিপুর ও ভুরুঙ্গামারী, খুলনার বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া, সাতক্ষীরার দেবহাটা, কচুয়া, ফকিরহাট ও মোরেলগঞ্জ, কুষ্টিয়ার খোকসা, মেহেরপুরের সদর, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর, ভোলার লালমোহন, বরগুনা সদর, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া, চট্টগ্রামের রাউজান, আনোয়ারা ও রাঙ্গুনিয়া, কক্সবাজারের রামু ও কুতুবদিয়া, কুমিল্লার মেঘনা, হোমনা, সুনামগঞ্জের দিরাই। এছাড়াও নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলায় কয়েকটি উপজেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এখনও উপজেলাগুলো নির্ধারণ করা হয়নি।
তবে বর্তমানে দেশের অনেক উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। শিল্পকলায় পূর্ণাঙ্গ কোন কমিটি না থাকায় এর কার্যক্রম অনেকটাই ব্যহত হচ্ছে।

উল্লেখ্য নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আমিনুল ইসলাম গোয়ালন্দে যোগদানের পর থেকেই গোয়ালন্দ উপজেলার শিক্ষা, সংস্কৃতি,ইতিহাস, ঐতিহ্য দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ইতিমধ্যেই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে দেশব্যাপী অনলাইনভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার অংশ হিসাবে ‘ গোয়ালন্দ উপজেলা
শিল্পকলা একাডেমি’ ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আয়োজন করা হয়েছিল এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। পুরস্কৃত করা হয় ক্ষুদে শিল্পীদের। ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শিল্প সংস্কৃতি নানা বিষয় তুলে ধরছেন সংস্কৃতমনা ইউএনও মহোদয়।

তবে গোয়ালন্দ উপজেলায় শিল্পকলা একাডেমির পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম।

জীবন চক্রবর্তী, গোয়ালন্দ।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg