রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলার বিষয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন এবং গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন, ও তরুন ভাংচুর কাটা ছেঁড়া ও অবমাননার প্রতিবাদে গোয়ালন্দ শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে পৃথক আরেকটি সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের পূর্বঘোষিত সাংবাদিক সম্মেলনটি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস কার্যালয়ে এগারোটার সময় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা গোয়ালন্দ শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে করা সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গোয়ালন্দ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান চৌধুরী আসাদ, সভাপতি ফরিদুজ্জামান, আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ইউনুস মোল্লা গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ সোহেল গোয়ালন্দ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন মৃধা ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রশিদ ফকির সহ আরো অনেকে এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন । গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী আসাদ তিনি সাংবাদিকদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন আমরা গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ গভীর উদ্বেগের সাথে আপনাদের অবগতি করতেছি যে আসন্ন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে রাজবাড়ীর গণমানুষের নেতা পাঁচবার নির্বাচিত মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও চারবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারনণ সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী এমপি কে আসন্ন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই দাবিতে বিভিন্ন ফেস্টুন ও ব্যানার গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পদ্মার মোড় সহ আশেপাশে আমরা লাগিয়ে দেই। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের পরিতাপের বিষয় এই যে আমরা লোক মারফত জানতে পারি গত ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন বিপথগামী যুবক শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার গুলো ভাঙচুর করে যাহা রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ এ ঘটনায় আমরা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই প্রকৃত দোষী কে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে ইতিমধ্যে সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জনাব ইমরান রহমান সজল বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অজ্ঞাত নামা ১৫-২০ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন যাহা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ তদন্ত করছেন।
তিনি সাংবাদিকদের উপস্থিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখিত বক্তব্য শেষ করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে নিন্দা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাড়ে ১১ টায় পৃথক আরেকটি সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান মিয়া ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা মুন্সি সহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম খান সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন রনি গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সুজ্জল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সালু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ তুহিন দেওয়ান সাধারণ সম্পাদক আবির হোসেন হৃদয় পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ , সাধারণ সম্পাদক আকাশ সাহা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন সহ, যুবলীগ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দ।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ২পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ তিনি গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান এবং সেইসাথে বলেন আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন কমিশন দ্বিতীয় দফায় ১০ অক্টোবর ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করলেও একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণেই ওই তারিখ পরিবর্তন করে পুনঃতফসিল ঘোষিত হবে। একজন প্রার্থীর আকস্মিক এ মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।
অত্যন্ত দুঃখ-বেদনার বিষয় রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর গতিশীল নেতৃত্বে এবং নানামুখী সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গোয়ালন্দের রাজনীতিতে যখন সুবাতাস বইছে সেই মুহূর্তে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে একটি মহল সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের পুনর্বাসনের জন্য গোয়ালন্দের রাজনীতিকে কলুষিত করতে নানাভাবে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করছে। আপনারা জেনে থাকবেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘোষিত না হলেও একটি অতি উৎসাহী মহল ”রাজবাড়ী-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী কে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই”শিরোনামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত
ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেছে। এ বিষয়ে আমাদের ন্যূনতম আপত্তি নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত কিংবা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয় এমন ব্যক্তি বিশেষের ছবি ও ব্যানার প্রদর্শন মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। এরপরও বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রকার অনিয়মতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন না করে সাংগঠনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে কোন নেতা বা কর্মী তার পছন্দের ব্যক্তিকে প্রত্যাশা করতেই পারে। এ নিয়ে আমাদের গাত্রদাহ নেই। কিন্তু একদিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা বলবেন, আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবেন এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না। যা আওয়ামীলীগের রাজনীতি ও গনতন্ত্রের পরিপন্থী। গোয়ালন্দ উপজেলার আসন্ন উপ নির্বাচনে জনবিচ্ছিন্ন কতিপয় নেতার এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
আমরা বলতে চাই, কুচক্রী মহল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে রাজনীতির পরিবেশ কে উত্তপ্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে রাতের অন্ধকারে এসব ব্যানার ও ফেস্টুন ছিড়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এহেন কর্মকান্ডের সাথে যারা জড়িত থাকুক না কেন আমরা এর জোর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির কোন অসম্মান ও অমর্যাদা গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ এ অঞ্চলের জনগণ কখনোই মেনে নেবে না।
এই বলে দুই পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্য পড়ে শেষ করা হয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলা টি তদন্ত করা হচ্ছে।
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি