গত ৩/০৯/২০২০গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড অম্বলপুর গ্রামের ইসহাক সরদারের বড় ছেলে জহিরুল সরদার (জহু)র (৩৫) সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়।তিনি ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন ।তিনি ২ কন্যা সন্তানের পিতা ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির আপন চাচাতো ভাই লুৎফর সরদার রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে বলেন আমার ভাই এবং ভাবী নিজ ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত দুইটার সময় আমার ভাইয়ের ঘুম ভাঙ্গে। ঘুম থেকে উঠে চৌকির উপর ডান হাত রেখে বসতেই সাপে কামড় দেয় এসময় তিনি চিৎকার করলে তার স্ত্রী উঠে দুজনই সাপটিকে দেখতে পান তৎক্ষণাৎ তারা তাকে নিয়ে ফকিরবাড়ি রওনা হন তাদের দাবি ফকির ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে বিষ বের করেন। তারপর তাকে রাত তিনটার সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল এ নেয়া হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন এবং রক্ত পরীক্ষার ফলাফল দেখে তাকে বিপদ মুক্ত ঘোষণা করেন এবং বলেন আপনারা চাইলে তাকে ভর্তিও রাখতে পারেন এবং চাইলে বাড়িতেও নিয়ে যেতে পারেন।তখন তার পরিবারের লোকজন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন। বাড়ি আনার প্রায় ২ ঘন্টা পর তার মুখ দিয়ে লালা পরতে থাকে এবং তৎক্ষনাৎ তাকে আবার ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়, কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ইনজেকশন, এবং স্যালাইন দেন। ইনজেকশন এবং স্যালাইন দেবার কিছুক্ষন পরেই তার অবস্থার আরো অবনতি হয় এবং কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তার পরিবারের লোক আরো বলেন তিনি যে ঘড়ে থাকতেন সেই ঘড়ের বারান্দায় পাটকাঠি এবং খড়ির মাচা ছিল।তারা ধারনা করছেন এখানেই সাপটি লুকিয়ে থাকতে পারে।
মৃত্যুর ৬ দিন পরে রাজবাড়ী থেকে একটা সাপুড়ে আনা হয় তার নিজ বাড়িতে। প্রথমে সবাই ধারণা করে সাপটি তার নিজ ঘরেই আছে। অনেক খোড়াখুড়ির পর থাকার ঘরে না পাওয়া গেলে সাপুড়ে পাশের পরিত্যক্ত ছাপরা ঘর দেখতে পান এবং সেই ঘরের মধ্যে সাপুড়ে অনেক ছোট ছোট গর্ত দেখতে পান। সন্দেহ অনুযায়ী সেই ঘরটি খুঁড়তে বলা হয় এবং খুঁড়তে খুঁড়তে একসময় বিষধর সাপটি বেরিয়ে আসে। সাহসী সাপুড়ে তখন সাপটি ধরে ফেলেন এবং বাড়ির সকলকে দেখান। সাপটি দেখে বাড়ির সবাই কান্না করতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে এই সাপটিই জহুরুলের প্রাণঘাতী সাপ।
ফিরোজ আহমেদ
গোয়ালন্দ প্রতিনিধি