রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মদাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য বিউটি প্রমাণিক বাদী হয়ে মারধর ও বিভিন্ন অভিযোগ এনে রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে রবিবারে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় মজনু সহ মোট ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে৷ তাদের বাড়ী মদাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গাতে। আসামীরা হচ্ছে একেএম রোকনুজ্জামান, আবুল কাশেম, মঞ্জু শেখ, জিলাল মোল্লা, উজ্জল প্রমানিক, আরিফ ফকির, শিহাব মহাজন ও লতিফ মহাজন।
মামলার বাদী বিউটি মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, আসামীগন মদাপুর ইউনিয়নের সদস্যদের জোর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করাতেন, গরিবের চাল আত্মসাৎ করার জন্য । তিনি বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় আসামিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ভয়ে তিনি আত্নগোপন করেন। পরে আসামীরা তাকে খু্ঁজে বের করে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় এবং তার কাছে সীল না থাকাতে তাকে মারধর করে। সন্তানকে অপহরণ করবে,মেরে ফেলবে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায়। তার কাছের ফোনটিও নিয়ে যায় তারা। তাকে ও তার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি রাজবাড়ী পুলিশ সুপার ও কালুখালী থানায় অভিযোগ করেছিলেন। আসামী ক্ষমতাশীল হওয়াতে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। এ কারণে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মনজুর সাথে কয়েকদফা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।