বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক জাদুকরী মন্ত্রের নাম মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব – তামিমের থেকে শুরু করে জুনিয়র ক্রিকেটার লিটন – মোসাদ্দেক যেই হোক না কেন তাদের ফর্মের গ্রাফটা যদি নিচের দিকে নামতে থাকে আর তারা যদি গুরু সালাহউদ্দিনের সান্নিধ্যে আসেন তখন অনেকটা জাদুকরীভাবেই তাদের আবারো ফর্মে ফিরে আসতে দেখা যায়।
২০১৯ বিশ্বকাপের আগে আইপিএল চলাকালীন সময়ে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে ভারতে নিয়ে গিয়ে তার অধীনে অনুশীলন করে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়ে উন্নতি করেছিলেন সাকিব আল হাসান। যার ফলশ্রুতিতে বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পার্ফরমেন্সের সাথে বল হাতেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত।
এছাড়াও তামিম ইকবালকেও প্রায় সময়ই গুরু সালাহউদ্দিনের অধীনে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
তবে টাইগারদের গুরুর সাফল্যের পেছনে রহস্য কি?
এই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে আমাদের একটু পেছনে যেতে হবে। সাকিব তামিমের বয়স তখন ১৫-১৬ হবে। বয়সভিত্তিক দলের কোচ তখন গুরু সালাহউদ্দিন। তখন থেকেই তাদের নাড়ি নক্ষত্র সব কিছুই চেনা তার। তাই তাদের ব্যাটিংয়ে কোন জায়গায় ঘাটতি রয়েছে তা খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন গুরু।শুধুমাত্র সাকিব – তামিমই নন। জাতীয় দলে খেলা বর্তমান ও সাবেক বেশিরভাগ ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই গল্পটা প্রায় একই রকম।
ক্রিকেটাররাও তার সাথে কাজ করতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর এই কারণেই সালাহউদ্দিনের সাথে জুটি বেঁধে ক্রিকেটাররা হন সফল।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে ফুল ফিট সাকিব আল হাসানকে পেতে মরিয়া পুরো বাংলাদেশ। সাকিব ও সেই ব্যাপারে অবগত আছেন। তাই তো নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার আবারও শরণাপন্ন হয়েছেন গুরু সালাহউদ্দিনের নিকট। বিকেএসপিতে সাকিব – সালাহউদ্দিন জুটির ট্রেনিং সেশন শেষে একেবারে ফর্মের চূড়ায় থেকে সফর শুরু করবেন সাকিব এমন ভাবনা হয়তো মিছে যাবেনা।
মারুফ হোসেন ।। ঢাকা