চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে ছাতকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে শহরের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন চলাকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আনোয়ার রহমান তোতা মিয়ার সভাপতিত্বে ও সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণ যোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা হুমায়ূন কবির রুবেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম মোস্তাফা, সাবেক পৌর কামান্ডার অজয় ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা কবির উদ্দিন লালা, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি বাবুল রায়, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা শহীদুল ইসলাম, মাসুদ রানা, শাহ আলম বাসিত, সোহেল আহমদ, শাহাব উদ্দিন, মির্জা খছরু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রথম প্রতিবাদকারী সৈয়দ আহমদের বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা মরহুম ডাঃ আলী আশরাফকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়ায় এবং চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা করা হয়। এমপি মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরীর সহচর বাঁশখালী পৌর মেয়র সেলিমুল হকের নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়। এ হামলায় সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। হামলাকারীদের মদদাতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তিকারী চট্টগ্রাম-১৬ আসনের এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি আওয়ামীলীগের সকল পদ থেকে তাকে বহিস্কারসহ সংসদ সদস্য পদ বাতিলের দাবী জানান বক্তারা।
একইসাথে সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ গোল চত্তরকে মুক্তিযোদ্ধা চত্তর নামকরনেরও দাবী জানান তারা। এসময় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম, আরজদ আলী, আব্দুর রাজ্জাক, ইন্তাজ আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও ইউপি সদস্যা হেলিমা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সালেহ আহমদ, জাহাঙ্গির আলম, জাকির হোসেন, উস্তার আলী, আশরাফ আলী, সৈয়দ আহমদ, রুবেল খান, মনির মিয়া, সাহেব আলী সাজু, শাহীন তালুকদার, সেলিম আহমদ, মামুন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম মাহবুব/সুনামগঞ্জ(ছাতক)