গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত করোনা পরিক্ষার জন্য ৮৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে এই আমিরুল ইসলাম একাই ৬৬০ জনের অধিক ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ভয়-ভীতি কে ঊর্ধ্বে রেখে তিনি তার সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এরমধ্যে তার পরিবারের দুইজন সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সুস্থ হয়েও গিয়েছেন।
আমিরুল ইসলাম রনি রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে বলেন আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি তবে শুনেছি বাবা-মায়ের কাছ থেকে। তখন যদি তারা দেশকে স্বাধীন করতে পারে আমি কেন এমন পরিস্থিতিতে মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবোনা। যখন নমুনা সংগ্রহ করতে বাড়ি বাড়ি যাই তখন অনেকেই আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে করোনা হবে বলে। অনেকেই আমার সাথে না মিশে দূরে দূরে থেকেছে। আমি সমস্ত কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে এই কাজটি করেছি আর ভেবেছি আমি যদি এটা না করি আমার দায়িত্ব কে অবহেলা করা হবে। আর দায়িত্ব পালন না করলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসিফ মাহমুদ বলেন প্রথমে মেডিকেল টিমের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরবর্তীতে রোগীর চাপ বাড়তে থাকলে রোগী নিজেই হাসপাতালে উপস্থিত হন এবং হাসপাতালেই নমুনা দিয়ে থাকেন। প্রথমে আমিরুল ইসলাম রনি ভয় পেলেও তাকে সাহস দিয়ে সংগ্রহ করতে বলি এবং পরবর্তীতে সে নিজেই এই কাজটি করে থাকেন। তিনি তার এমন কাজে ভূয়শী প্রশংসা করেন। আজ এখন পর্যন্ত মোট ৮৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে তার মধ্যে ১৯৬ জনের পজিটিভ আসছে এবং ৬ জন মৃত্যুবরন করছে।
আমিরুল ইসলাম রনি তার জন্য সর্বসাধারনের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ফিরোজ/গোয়ালন্দ