জীবন যুদ্ধে হার না মানা রাজবাড়ীর কোরিয়া প্রবাসী কাউয়ুমের গল্প

সম্পাদকীয় | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ১১২৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

0Shares

তখন আমি নবম শ্রেণীর ছাত্র, সদ্য স্কুলের ড্রেস পরিধান করা বাধ্যতামূলক করে কিন্তু আমার বাবার পক্ষে সেই স্কুল ড্রেস বানিয়ে দেবার মত সামর্থ্য ছিল না৷ থাকবেই বা কি করে ওই সময়টাতে এমনটা হত যে আজ রান্না হলে আগামীকাল রান্না হবে কিনা সেটা নির্ভর করতো বাবার শরীরের উপর ।

আমার বাবা ছিলেন একজন তাঁতী মানে গামছা বা লুঙ্গি তৈরির কারিগর । তবে উনার আয় রোজগারের পথে একমাত্র বাঁধা ছিল তার শ্বাস কষ্টের রোগ (হাঁপানি)৷ কোনদিন শান্তিমত কাজ করতে পারতো না ,এজন্য সংসারে সবসময় টানাপোড়েন লেগেই থাকতো । ক্লাস শুরুর কিছুদিন পরে যারা স্কুল ড্রেস না পরে আসে তাদের কে স্যার বেত্রাঘাত করা শুরু করলো। প্রায় সবাই সেই ড্রেস পড়ে স্কুলে আসা শুরু করলো কিন্তু আমার আর সেই ড্রেস কেনার মত সামর্থ্য হল না । তাই মাঝে মাঝেই স্যারদের বেত্রাঘাত সহ্য করতে হতো । কিন্তু একদিন একদম নতুন নয় কিছুটা পুরাতন তবে একটু ফ্যাশনেবল জামা প্যান্ট পরে গিয়েছিলাম স্যার তো সেটা দেখে রেগে মেখে লালে লাল!!! স্যারের উক্তি ছিল ফ্যাশনেবল জামা পড়ে আসতে পারো আর স্কুলের ড্রেসটা বানাতে পারো না ? সেদিনই উনি উনার রাগটা ঝেড়েছিলেন অবশ্য, তবে সেদিনের বেত্রাঘাত সইবার মত শরীরে শক্তি ছিল না তার কারণ হল আমি সেদিনের পূর্বে ২ দিনের উপর না খেয়ে থাকার জন্য । মনে আছে সেই মার খেয়ে আমার জ্বর ছিল প্রায় ২-৩ দিনের মত । আচ্ছা পানির অপর নাম জীবন সেই পানিই আবার আপনার জন্য বিষের মতো হতে পারে কখনো ভেবেছেন কি ? আমি কিন্ত হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি পেটের ক্ষুধায় পানি দিয়ে ক্ষুধা নিবারনের চেষ্টায় আমি বুঝতে পেরেছি!!! শুধু পানি খেলে বমি হত তাই পানির সাথে লেবু আর লবণ মিশিয়ে খেয়ে জীবন বাঁচিয়েছি অনেক সময় । যে স্যার মেরেছিল সে কিন্তু ঠিকই জানতো আমার বাড়ীর অবস্হা । আর মজার ব্যাপার হলো আমি যে কাপড় পরে সেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম সেই কাপড় গুলো ছিল আমার মেজো ভাইয়ের শ্যালকের পুরাতন অব্যবহৃত।

আমি বরাবরই ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজে অভ্যস্ত না হওয়ায় মনে হয় একটু বেশি কষ্ট করেছি । হঠাৎ মাথায় আচমকা বুদ্ধি চাপলো ব্যবসা করবো কিন্তু কাছে তো কোন টাকা নেই তাই বাবাকে বুঝাতে লাগলাম তার শারীরিক অবস্থার কারনে তাঁতের কাজটা করাটা ঠিক হবে না , বাবাকে বললাম কিছু টাকা লোন করতে । বাবা রাজি হলেন কিন্তু কেউ লোন দিচ্ছিল না হঠাৎ বাবা আমাদের বাজারের পাশেই আমার বোনের বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে গেলেন , সেখানে যেয়ে দেখলেন একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের লোক , তখন এক বুক আশা নিয়ে সেই আন্টিকে বাবা বোঝালেন উনিও দয়ালু হওয়ায় বাবার কথায় এনজিও থেকে নিজের রিস্কে ২,৫০০ টাকা তুলে দেন ।

সেদিনের বাবার মুখের হাসি কোনদিন ভুলবার মত নয় আমার মনে হয়েছিল বাবা যেন লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছিল । সিদ্ধান্ত নিলাম কাঁচা তরকারি বিক্রি করবো পুঁজি কম কিন্তু আশা ছিল অনেক !!!!! পাশের বাড়ির মামীর কাছ থেকে তাদের অব্যবহৃত দাঁড়িপাল্লা ধার করে বাজার থেকে কিছু কাঁচা মরিচ , আলু , বেগুন কিনে প্রথম দিন হাটে বিক্রি করলাম তাতে প্রায় ২০০ টাকার মত লাভ হয় । কিন্তু মাসে ৮ দিন হাট বসায় আমাদের হিমশিম খেতে হবে ভেবে বাবাকে বললাম প্রতিদিন সকাল বিকাল তরকারি নিয়ে মাটিপাড়া বাজারের মোড়ে বসে থাকতে আমি স্কুল শেষ করে যেয়ে বাবাকে সাহায্য করি । এখানেও আমিই প্রথম উদ্যোক্তা কারন তখন মাটিপাড়াতে হাটবার ছাড়া কোন তরকারি পাওয়া যেতনা অনেকেই প্রথমে হাসি ঠাট্টা করলেও কিছুদিনের ভেতরে আমাদের বিক্রি বাড়তে শুরু করলো । তাই একটা ছোট্ট দোকান ভাড়া নেই যাতে কাঁচা তরকারি রেখে যেন বিক্রি করতে পারি । একসময় আরো অনেকেই আমাদের সাথে কাঁচা তরকারি বিক্রি শুরু করলো সেই থেকে আজ অবধি সকাল বিকেল মাটিপাড়াতে মাছ তরিতরকারি সহ গোশত পর্যন্ত পাওয়া যা পূর্বে হাটবার ছাড়া কল্পনাও করেনি কেউ ।

কয়েক মাস পরেই বড় ভাই এর বাসায় বাবা আমাকে নিয়ে গেলেন দাঁড়িপাল্লা আনার জন্যে আমার ব্যবসার কথা শুনে উনি খুব খুশী হলেন । রাজবাড়ী থেকে মাটিপাড়া চলে আসলেন আমার সাথে ব্যবসা শুরু করবেন পুঁজি আরো বাড়ালেন বড় দোকান নিলেন । কিন্তু ততদিনে বড় ভাইয়ের পরিবারে ৫ জন সহ আমি ছোট আপা মা-বাবা সহ ৯ জন হওয়ায় খাবারের কষ্ট আর যাচ্ছিলোনা । এভাবে আরো কয়েক মাস অতিক্রম করলাম পরে অভাব অনটনের দায়ে তিনি আলাদা হয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেন । সাথে পাশের গ্রামে জায়গা কিনলেন ওখানে বাড়ি তৈরি করে চলে গেলেন । আমাদের পুঁজি পাট্রা সব গায়েব ।

যখন ক্লাস টেনে উঠি তখন আমার সমস্ত কিছু অন্ধকার হওয়া শুরু হয় এস,এস,সি পরিক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফি সাথে প্রথম সাময়িক পরিক্ষার ফি সব মিলিয়ে খুব বাজে সময় পার করছিলাম হঠাৎ করে আমার বড় বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে যায় ,কপাল ভাল যে বিয়ের কোন খরচ লাগেনি ছেলে পক্ষ সব খরচ করে । মা চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়েছে ২০০৪ সালে তাই বাবাকে নিতে হল রান্নার দায়িত্ব । আসলে টাকা ছাড়া কদিনই আর ১ ~২ বেলা ঠিকমত ভাত না জুটলে তার কষ্ট সহ্য করার মত ক্ষমতা কজনের আছে ? দশম শ্রেণীর প্রথম সাময়িক পরিক্ষার ২টি বিষয় শেষ হলে পরিক্ষার ফি ২০০ টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায় আমার পরিক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দেয় সেই একজন স্যার , যেদিন থেকে পরিক্ষা দেওয়া বন্ধ করে ওই দিন থেকেই বন্ধ করে দিয়েছিলাম স্কুলের বই খাতা !!!

খারাপ ছাত্র ছিলাম না ,পড়াশুনা করবো ,নামি দামি মানুষ হবো এমন ইচ্ছা আমারো ছিলো ,একজন শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর কিন্তু সেই শিক্ষকই আমাকে মানসিক ভাবে ছোট করে দিয়ে,আলো থেকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করলো ৷ তারা কি পারতোনা আমাকে আর একটু সুযোগ দিতে ?আমার জীবন সংগ্রামের কথাতো প্রতিটি শিক্ষকই জানতো ৷ আমাকে স্কুলের বেতন পরিশোধের জন্য কয়েক দিন সময় দিলে কিইবা ক্ষতি হতো তাদের ৷ বা দরিদ্র তহবিল থেকেও আমার পরীক্ষার ফি দিয়ে দিতে পারতো । অবশ্য আমি ঢাকা চলে যাবার পর আমার ক্লাসমেটদেরকে আক্কাস স্যার পাঠিয়েছিলেন কিন্তু ওই ২~৩ দিনে সব শেষ । আমি তখন ঢাকাতে, সে দিনই পড়ালেখার ইতি টেনে পাড়ি জমিয়েছিলাম ঢাকায়।

বন্ধুর কাছ থেকে ৮০ টাকা ধার নিয়ে ৷ক্ষুধার যন্ত্রনায় যখন দেখতাম বাবার চোখের নিচে পানি আর ব্যর্থতার গ্লানি , মনে হতো এখনই গিয়ে বড় ভাইদেরকে খুন করে আসি কারন এ অমানুষেরা কেউ আমার আর বাবা মায়ের কোন দায়িত্ব নেয় নি কখনো আদর ভালবাসায় সহযোগীতার হাত বাড়ায় নি ৷

চলে গেলাম ঢাকাতে মাইনদ্দিন ইসলাম এর কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম sorry তোকে আজো ওই টাকা দেইনি তোর এই টাকাই আমার জীবন সাফল্যের অর্ধমনি তোর কাছে আজীবন এই টাকার জন্য ঋণী হয়ে থাকতে চাই । বাবা-মা খুব কষ্ট পেয়েছিল সেদিনটাতে একজন ছাত্রের ১০ বছরের সাধনা পূর্ণ হয় এস,এস,সি এর মাধ্যমে । কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য সেটা করতে পারি নাই টাকা নামক কাগজটার অভাবে ৷ বাবা বললো আমি তোকে মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে পড়ালেখার খরচ দেই তবু তুই পরিক্ষাটা দে আমি বাবার কথায় সাড়া দিতে পারিনি । আমি চাইনি আমার জন্য আমার বাবা মানুষের হাতে পায়ে ধরুক !!! আমি কখনোই এটা সহ্য করার মত স্পর্ধা রাখিনি ।

ঢাকাতে কাজ নেই এসি ফ্রিজ মেকানিকের কাজ ৯ দিন করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিভিশন সেন্টারের পিছনে (রামপুরা ) বেতন দিবে ৩ মাস পার হলে তাই সম্ভব ছিল না সেটা করা। সিদ্ধান্ত নেই গার্মেন্টসে কাজ করবো । একদিন যাই ক্ষিলক্ষেতের একটা অফিসে বেতন মাত্র ১৮০০ টাকা ডিউটি সকাল ৮ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত টোটাল ২২০০ টাকা ১ দিন কাজ করে বাদ দিলাম । ওখানে এক ভাইকে বললাম আমার টাকা বেশি দরকার তাই আপনার জানামতে কোন কাজে বেতন বেশি ? সে বললো নিটিং অপারেটর প্রোডাকশনে কাজ করে কাজ যা করবে তাই বেতন । ওটাই শিখবো মনস্থির করলাম । তখন আমার বয়স ১৭ হওয়ায় সোয়েটার বানানো নিটিং এর কাজ শিখতে ফ্লোর ইনচার্জ বাধা দেয় গাজিপুরাতে (আরবি সোয়েটার ) মেজ ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ির পাশ্ববর্তী আত্মীয় থাকায় সেই ভাইটি তাকে বুঝিয়ে বলে কাজটা আমার কত দরকার । ওই কাজ সহজে শিখা যায় না তাই ইনচার্জ বললো ১ সপ্তাহে কাজ শিখতে না পারলে ওকে অন্য সেকশনে দেব আল্লার রহমতে ১ দিনেই কাজ শিখে ফেলি । তখন নিজের এই আল্লাহ প্রদত্ব আমার মাঝে যে প্রতিভা আছে আমি নিজেই উপলব্ধি করি কারন কাজটা শিখতে মিনিমাম ১ ~২ মাস লেগে যায় । পরের দিন এক অপারেটর না আসায় ওই মেশিনে সুতা দিয়ে ২ পিস সোয়েটার এর অংশ বানাই । পরের দিন ইনচার্জ অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল অনেক বড় হবি তুই । ওই মাসেই কাজ করে বেতন পাই ৪,৩০০ টাকা আলহামদুলিল্লাহ সেই থেকে শুরু সর্বোচ্চ ১৯,৫২৩ টাকা পাই কাজ শেখার ৬~৭ মাসের মধ্যেই ।

আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি হঠাৎ কোনএক ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাই রাস্তায় ব্যানার দেখতে পাই দক্ষিণ কোরিয়াতে সরকারী ভাবে যাওয়া যায় তার পূর্বে পত্রিকায় দেখেছি কিন্ত বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল । ঈদের পরের দিন Ruhul Aminভাগিনার সাথে যাই সেন্টারে আমার সিদ্ধান্ত হল ভাষা শিখবো কিন্ত ভাগিনা বললো সে ঢাকাতে শিখবে দুজনে দুই দিকে শুরু করলাম । ভাষা শিখতে আমার ৩৫,০০০ টাকা লেগেছিল প্রাইভেট ভাবে শিখাতো বলে । ভাষা শিক্ষা কোর্স শেষ করে রাজবাড়ীতে একটা বাসা নিয়ে চালু করেছিলাম কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্রে প্রথমে ভালই চলে কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহ আর বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সার্কুলার বন্ধ করে দেয়ায় আবার বিপদে পড়ে যাই প্রতিবেশি বা আশেপাশের লোকজন কটাক্ষ করা শুরু করলো তাই রাজবাড়ীতে টিকতে না পেরে চলে যাই আবার ঢাকা । কোরিয়াতে আসবো কেউ আমাকে সাপোর্ট করেনি উল্টো আমাকেই বাঁধা দিয়েছে তাদের কথা ছিল কোরিয়াতে যাওয়া এত সহজ নয়, শুধুমাত্র আমার পাগলামিতে আর বাবা-মা দিয়েছিলেন স্বাধীনতা আমি যাই করেছি কখনো বাঁধা দেয়নি শুধু বলতো তুমি যেটা ভাল মনে কর সেটাই কর তোমার প্রতি আমাদের ভরসা আছে , সে জন্য আজ আমি কোরিয়া পর্যন্ত আসতে পেরেছি , আমার স্বপ্ন ছিল কোরিয়া যাব অন্য কোথাও না । অপেক্ষা করতে করতে ২০১২ সালে লটারি পাই ২০১২ সালের অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে পাড়ি জমাই স্বপ্নের দেশ কোরিয়াতে । আজকের দিনটাতে বাবাকে খুবই মিস করছি আজ উনি বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশী খুশি হতেন ।

আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই কিছু ভাই ও বন্ধুদের যারা আমাকে এই দীর্ঘ সময়ে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দিয়েছে । কোরিয়ায় বসবাসের জন্য পারমানেন্ট রেসিডেন্সি পাওয়াটা আমার জন্য সহজ ছিল না । আমাদের কোম্পানির মালিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মত ভাষা আমার জানা নেই । আজ কোরিয়াতে স্বপরিবার বসবাস করছি, মাসে দুই লক্ষাধিক উপরে বেতন পাচ্ছি। স্কুল ড্রেসের অভাবে পড়তে পারিনি, আজ শিশুদের ড্রেস দেই, যাতে কোন শিশুর ড্রেসের অভাবে পড়া বন্ধ না হয়। অভাবে না খেয়ে দিন কেটেছে আমার, আজ অনেক ক্ষুধার্ত মানুষকে খাবার দিই।

কথা গুলো শেয়ারের মূল উদ্দেশ্য হল সফলতা কখনোই সহজে ধরা দেয় না , এ জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে তবেই সফলতা ধরা দিবে । লক্ষ্য থাকতে হবে অটুট।

ব্যর্থতার বিপরীতে সফলতা দন্ডায়মান, ছুতে চাইলে হও আগুয়ান, ওহে নবীন নওজোয়ান। পিছু গেলে হইবে তুমি পারবে নাতো লক্ষে যেতেঘাত –প্রতিঘাত সহ্য করে চলতে হবে সঠিক রথে কত মানুষ দেখবে তুমি বন্ধু বেশে আসবে পাশে নরম সুরে করবে গল্প আবার দেখবে মৃদু হাসে, এরা তোমার জয়ে দুঃখী, হিসেব করে কথা বলো । সুযোগ পেলে করবে ক্ষতি, যদিও সামনে বলছে ভালো লক্ষ নিয়ে বীরের মত এগিয়ে যাবে স্বপ্ন জয়ে, সফল তুমি হবেই বৎস, যতই আসুক ভীতি বয়ে করবে নতুন বচন,

ইতিহাস যাবে সাক্ষী হয়ে , হবে তোমার কর্মে গর্ব করবে সভ্য জাতির মানব !!!!

লেখক, আবদুল কাউয়ুম হাসান,
দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg