গতকাল ১৫ আগষ্ট শনিবার রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার মাঝবাড়ী ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযােদ্ধা আছির উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রবিউল বিশ্বাস (৩৫) কে রাতে দুর্বত্তরা হত্যা করে মােনাইবিলে কচুরিপানার মধ্যে ফেলে যায়। তিনি ছিলেন একজন বেকারীর বিস্কুট ব্যবসায়ী। গত রাতে রবিউল নিখোঁজ হওয়ার পর, তাদের আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পরও তাকে না পেয়ে কালুখালী থানায় যোগাযোগ করে। এ ব্যাপারে কালুখালী থানায় ওসি মােহাম্মদ কামরুল হাসান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৫ আগষ্ট ভাের ৪.২৭ টার সয়ম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুমন আমাকে জানায়, রবিউল বিশ্বাসকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তাৎক্ষণিক ইমারজেন্সি ডিউটিতে থাকা এস.আই ফজলুল হককে ঘটনা স্থলে পাঠাই।রবিউলের বড় ভাই মুক্তার বিশ্বাস জানায়, অনেক খোঁজাখুঁজির পর মােনাইবিলে কচুরিপানার মধ্যে আমার ভাই রবিউলের লাশ পাওয়া যায়। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুমন জানায়, ১৪ আগষ্ট মারামারির জের ধরে বাবুলকে ১ নং আসামী করে রবিউল সহ কালুখালী থানায় শাহিন বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এব্যাপারে রাত ১২ টায় কালুখালী থানার পুলিশ বাবুলকে আটক করে। ঘটনার দিন রাত ১ টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত আমার সাথে রবিউলের ফোনে যােগাযােগ হয়। কিছুক্ষন পর আমার কাছে সংবাদ আসে রবিউলকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রবিউলের ভাই আক্তার বিশ্বাস জানায়, আমরা দুই ভাই একই সাথে ছিলাম। এমতবস্থায় এলাহি, রফিক ও রাকিব আমার ভাইকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।বি বাড়িয়া গ্রামের লোকজন ও রবিউলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, ইউসুফ মেম্বার এর নেতৃত্বে বেতবাড়িয়ার এলাহি, রফিক, রাকিব, চরকুল্টিয়ার মনির ও কয়ারদির মুন্ন এদের নেতৃত্বে আমার ভাই খুন হয়েছে। ইউসুফ মেম্বার বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের যােগদান করায় তার নেতৃত্ব আমরা মেনে না চলায় শক্রতার সূত্রপাত ধরে আমার ভাইকে খুন করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এঘটনার সঙ্গে ইউসুফ মেম্বার জড়িত কি না আমার জানা নেই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার বিক্ষুপ্ত জনতা রবিউল হত্যায় পুলিশ জড়িত থাকার অভিযোেগ করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাধা প্রদান করে এবং পুলিশকে অবরুদ্ধ করে। ঘটনাস্থলে থেকে কালুখালী থানার ওসি মােহাম্মদ কামরুল হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) লাবিব আব্দুল্লাহ জানায়, রবিউল হত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন। এবং এ ঘটনায় কোন পুলিশ সদস্যও যদি জড়িত থাকে তদন্তকরে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে উল্লেখ করেন। এ কথা বলার পরও বিক্ষুপ্ত জনতা পুলিশের উপর লাঠি শােটা নিয়ে চড়াও হয়।। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে রাজবাড়ীর পুলিশ লাইনের স্পেসাল ফোর্স, বিক্ষুপ্ত জনতার উপর লাঠি চার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।