ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কালো পতাকা উত্তোলন ও বুকে কালো ব্যাজ ধারণ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ।
আজ শনিবার সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস, সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কেন্দ্রীয় কমিটি)। সাবেক সহ-সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি) সাইফুল আহাদ সেলিম আজ শনিবার এই প্রতিবেদককে বলেন।
জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতা যদি আমাদের মহত্তম অর্জন হয়ে থাকে, সেই স্বাধীনতার পুরোধা পুরুষ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড গভীরতম শোকাবহ ঘটনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী সদস্য তাঁকে সপরিবার হত্যা করে। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তাঁরা বেঁচে যান। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের সবার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সাম্প্রদায়িক, স্বৈরতান্ত্রিক ও শোষণবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু যারা ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে ফের পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল। জাতির সৌভাগ্য যে ঘাতক চক্রের শাসনকাল স্থায়ী হয়নি। ৮৩ দিনের মাথায় খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা সেনা অভ্যুত্থানে তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়। কিন্তু দেশত্যাগের আগে ঘাতক চক্র জেলখানায় জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে হত্যা করে। পরবর্তীকালে জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার এই ঘাতক চক্রকে বিদেশে কূটনীতিকের চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করে। তথাকথিত ইনডেমনিটি আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথও রুদ্ধ করেছিল, যা ইতিহাসে কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।
উক্ত শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সাবেক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু বিপুল ঘোষ। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল হক ভোলা মাষ্টার। সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক, ও সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (কেন্দ্রীয় কমিটি), সাবেক সহ-সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি) সাইফুল আহাদ সেলিম। এবং সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ফারুক হোসেন। সাবেক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ খান মাহবুবুর রহমান সহ আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের অসংখ্য ত্যাগী সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বৃন্দ
সভাপতির অসুস্থতার কারনে বাড়ীতে যাওয়ায়, পরবর্তীতে শোক দিবস অনুষ্ঠান’টির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ এর সহ সভাপতি শামীম হক।
মুহাম্মদ আলী মিঠুল/ ফরিদপুর