১৫ আগস্ট ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির সবচাইতে হৃদয়বিদারক মর্মস্পরর্শী শোকের দিন।১৯৭৫ সালের এই দিনের কালরাত্রিতে ঘটেছিল ইতিহাসের সেই কলঙ্কজনক ঘটনা। স্বাধীনতা বিরোধী কিছু উচ্ছৃঙ্খল কুচক্রীদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
নৃশংস ওই ঘটনার বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন আরও যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাঁরা হলেন: জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।খুনিদের বুলেটে সেদিন আরো প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শহীদ সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ, রিন্টু, খানসহ অনেকে।
শোকাবহ এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধা যানাই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি। একই সাথে জাতীয় শোক দিবসে পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে সেদিনের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
চক্রান্তকারী ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিল।বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের, আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি বরং এদেশের নতুন প্রজন্ম আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছে বলে বাংলাদেশ আজ একটি সুখী-সমৃদ্ধ, জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক দেশ হিসাবে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
আসুন, জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২০ বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলে আত্মনিয়োগ করি।
দিলসাদ বেগম
জেলা প্রশাসক
রাজবাড়ী