রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার নদী ভাঙ্গন কবলিত দৌলতদিয়া এবং দেবগ্রাম ইউনিয়নের তিন শতাধিক অসহায় ভূমিহীন পরিবারের মাঝে সরকারী ১নং খতিয়ান ভুক্ত খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
আজ ১২ আগষ্ট বুধবার গোয়ালন্দ সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্ষালয়ে দৌলতদিয়া এবং দেবগ্রামের নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর বিলিন হয়ে যাওয়া অসহায় ভূমিহীন তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে ৫ শতাংশ করে খাস জমি স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে । প্রথম ধাপে ৫৪ জন পরিবারের মাঝে জমির দলিল হন্তান্তর করা হয়। পর্যায় ক্রমে তালিকা ভুক্ত বাকি পরিবারের মাঝে জমির দলিল দেওয়া হবে । সরেজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত নদী ভাঙ্গন ভূমিহীন পরিবার দেখে তালিকা প্রনায়ন করা হয় ।
দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়াজনি গ্রামের নদী ভাঙ্গনে নিশ্ব:বৃদ্ধা মোছা. কাজলি বেগম (৬০) বলেন , স্মামীর ভিটা টি গত বছর পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে চলে গেছে । নিজের কোন জমি না থাকায় প্রায় এক বছর হাইস্কুলের বারান্ধায় ছেলে মেয়ে নিয়ে জীবন যাপন করছি । সরকারী খাস জমি পেয়ে আনন্দে চোখের পানি ফেলে। তিনি ঘর না থাকায় সরকারি একটি ঘরের দাবি করেন ।
দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঢল্লাপাড়া গ্রামের মো. আ. রশিদ শেখ বলেন, নদী ভাঙনে বাড়িঘর বিলিন হয়ে গেছে। নিজের কয়েক বিঘা জমি ছিলো চাষাবাদ করে খেতাম, নদী গর্ভে তাও চলে গেছে । এখন নিজের মাথা গোজার ঠাই টুকু নেই । দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালের পাশে ছাপড়া ঘর তুলে রয়েছি । নিজের জমি না থাকায় ঘর বাড়ি তুলতে পারছি না । সরকারি খাস জমি পেয়ে এখন কোন রকম ঘরবাড়ি তুলে থাকতে পারবো ।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুলাহ আল মামুন বলেন ,নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তো প্রকৃত ভূমিহীনদের তালিকা করে বাড়িঘর উত্তোলনের জন্য সরকারি খাস খতিয়ান থেকে ৫ শতাংশ করে জমি স্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে । পর্ষায়ক্রমে আরো তালিকা করা হবে । কেও ভুমিহীন থাকবে না । যাদের ঘর নেই তাদের কেও সরকারী ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাইফুর রহমান পারভেজ।