ধূলিময়
ধূলিময় ঘেরা মন শহর
নিন্দা কথা কয়,
পথের ধুলো মনের ধুলো
কৌশলে লুকয়।
মন্দ কাজে লিপ্ত সবাই
নিত্য অবিরাম,
উচ্চস্বরে কথা বলে
নব পল্লীগ্রাম।
থাকলে ধুলো মনের ভিতর
জীবন হয় আঁধার,
পথ হারিয়ে বেপথে তুই
হইবি যাযাবর।
পশুপাখি, দালান -কোঠা
ধুলোতে হয় ক্ষয়
মানব মনে ধূলিকণা
ত্যাগে হবে জয়
অল্প বৃষ্টি হলে শহর
পানি জমে যায়,
ধূলিময়ে এই শহরে
বাঁচা বড়োই দায়।
আছি বেশ
বাংলার বুকে লাল আর সবুজ
প্রাণের কথা কয়,
লাল সবুজের পতাকা হয়
বাংলা মায়ের জয়।
বাংলাদেশের যুদ্ধ যেনো
মুক্তির ছলো গান,
তাদের অবদান নতুন সাজে
দিবো প্রাণের দান।
বাংলাদেশের সবুজ মাঠে
কৃষক হাসে বেশ,
খালে বিলে শাপলা যেনো
পানির উপর কেশ।
কামার কুমার জেলে তাঁতী
দেশে আছে বেশ,
আমরা একি সুতাঁয় গাথা
সবার বাংলাদেশ।
স্বপ্ন মোদের পূর্ণ হবে
দিবো কাজে ঠাঁই,
জীবন হবে সোনার মতো
বুকে সাহস চাই।
মা
মায়ের কথা সহজ সরল
মায়া ভরা মন,
মায়ের মুখের হাসি যেনো
সুখের আগমন।
অনেক কথায় রাগ করেনা
মা মোদের গর্ব,
মায়ের সেবায় মিলে সবার
জীবনের পর্ব।
মিথ্যা কথায় মায়ের মনে
সত্যি উঠে ঝড়,
আপন মানুষ কষ্ট দিয়ে
করে শুধু পর।
হিংসা নিন্দা পুঁজি করে
করো না তর্ক,
মায়ের ভালোবাসায় আছে
সুখের স্বর্গ।
দেশ আমার
দেশ আমার সোনার বাংলা
প্রিয় বাংলাদেশ,
প্রিয় অামার ভাষা বাংলা
ভালো লাগে বেশ।
বাংলা জুড়ে সবুজ মাঠ ঘাট
প্রিয় মাতৃভূমি,
এ দেশ সবার ভালো লাগার
গর্ব করি অামি।
গরীব দুখী গাঁয়ের চাষী
দেশের অহংকার,
সোনার ফসল ফলায়
গৌরব বাংলার।
গাছের ডালে ডাকে দোয়েল
জাতীয় পাখি,
তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ অামি
জুড়ায় দুটি অাঁখি।
শিশুর ইচ্ছে
শিশুর মনে হরেক খেলা
বুঝতে পারে মা,
শিশুর মুখে মিষ্টি হাসি
গায়ে লাল জামা।
কথা ছাড়া অনেক খুশি
হাটতে শুধু চায়,
অন্য মুখের হাসি দেখে
সুখের পরশ পায়।
শিশু দেখে মজার কিছু
গগন পানে চাঁদ,
রাতে দিনে গান করার
আছে শুধু সাধ।
শিশু দেখে নতুন বাড়ি
মায়া ভরা কোল,
আপন মনে ছুটে বেড়ায়
মায়ের কোলে দোল।
কবির পরিচয়
তরুণ, সমাজসেবক,সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র অভিনেতা, কবি, ছড়াকার, কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার, আবুল হাশেম। পিতা : ওমর আলী, মাতা: রোকেয়া বেগম। দশ ভাই বোনের মধ্যে আবুল হাশেম পঞ্চম সন্তান। ছয় বোন ও চার ভাই মিলে যেন স্বর্গীয় পরিবার। সহধর্মিনী মোসাম্মৎ শামীমা ইয়াসমিন এবং কন্যা নওরোজ জাহান ইলমা।শিল্প-সংস্কৃতির সবকটি পথেই যেন স্বাচ্ছন্দ্য পাদচারণা করেছেন কবি।২০ জুলাই ১৯৮৬ ইং তারিখে রাজবাড়ী জেলা, কালুখালী উপজেলার অন্তর্গত,শায়েস্তাপুর গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন সাহিত্য অনুরাগী। ছাত্র জীবন থেকে কবি লেখালেখি করতেন। কবির কর্তৃক প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থসমূহ: মেয়ে, পাহাড়ের কান্না, ভালোবাসার কাব্যমালা, কবিতার ফুলদানি ও ভালোবাসার কাব্যকথা। জাতীয় কবি পরিষদ (জাকপ) থেকে প্রকাশিত পয়মন্ত প্রথমা। যৌথ গল্পের বই “শুভ্র পালক” এ শিয়াল ও ইঁদুরের গল্প প্রকাশিত হয়েছে। কবির লেখা নাটক, “হাবার কপালে বউ নাই”। তাছাড়া কবি বাংলাদেশ টেলিভিশনে, কিশোর মঞ্চে নয়ন তারা ও কুসুম কলি নাটকে অভিনয় করেছেন। অভিনয় শিখেছেন, নাগরিক নাট্যাঙ্গন ইনস্টিটিউট এন্ড ড্রামা ( NNID, ২৩ তম ব্যাচ)