স্টাফ রিপোর্টার,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা এলাকা ও দৌলতদিয়া ৩নং ওয়ার্ড বেপারী নদী পাড়ে এলজিডি কর্তৃক নির্মিত ইট সলিং রাস্তার দুই পাশে থাকা সরকারী ভাবে রোপন করা বনায়নের গাছগুলো দুর্বৃত্তরা নির্বিচারে কেটে নিচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।
জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে দৌলতদিয়া ঘাট মহাসড়ক হতে বেপারী পাড়া হয়ে দেবগ্রাম তেনাপচা পর্যন্ত নদীর পাড় দিয়ে রাস্তা নির্মিত হওয়ার পর বন্যা ও দুর্যোগ প্রতিরোধে রাস্তার দুই পাশে সরকারী ভাবে প্রথমে প্রচুর বাবলাগাছ রোপন করা হয়েছিলো। এর কয়েক বছর পরে উপজেলা এলজিডি কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তায় ইট সলিং করে। এরপর স্থানীয় জনগনকে উপকার ভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাবলা, বকাইন, বন সিটকি, চিকরাশিসহ নানা প্রজাতির গাছরোপন করা হয়। বর্তমানে ওই গাছগুলো দুর্বৃত্তরা নির্বিচারে কেটে নিচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, তেনাপচা গ্রামের মৃত বাহাদুর বেপারীর ছেলে শাজাহান শেখ ৩ টি বাবলা গাছ, ১টি বকাইন ১ বনসিটকি গাছ একই এলাকার আশ্রায়ন প্রকল্পের গাছ ব্যবসায়ী সিদ্দিক মন্ডলের কাছে বিক্রি করেন। সরকারী রাস্তার গাছ কেন কাটলেন জানতে চাইলেন শাজাহান শেখ ও সিদ্দিক মন্ডল বলেন, অনেকেইত কেটে নেয়। কেউতো নিষেধ করে না। তাছাড়া ওগুলো আমাদের লাগানো গাছ তাই কেটেছি। এভাবে দিনের পর দিন ওই সড়কে বন্যা প্রতিরোধক দীর্ঘদিনের বাবলা গাছসহ নানা প্রজাতির গাছগুলো কেটে উজার করা হলেও কেউ কোন বাধা দেয় না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
গোয়ালন্দ উপজেলার একজন সাবেক ফরেস্ট অফিসার জানান, প্রায় ২০ বছর আগে তিনি যখন গোয়ালন্দে কর্মরত ছিলেন তখন ওই তেনাপচা রাস্তাসহ চরাঞ্চলে তৈরী হওয়া সব রাস্তাগুলো বন্যা প্রতিরোধে দুই পাশে সরকারী নির্দেশে বাবলা রেইনটি সহ নানা প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়েছিলো।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা বন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি ওখানে গিয়েছিলাম। যারা গাছ কেটেছে তারা বলেছেন ওগুলো তাদের লাগানো গাছ। তাই বাধা দেই নাই। বনায়নের গাছ হলে আমি মামলা করব।