স্টাফ রিপোর্টার,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার রাস্তা নির্মাণে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ড্রেনের উপর ব্যবহৃত নিন্মমানের টাইলস ব্যবহার করা হচ্ছে যা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া যে ড্রেনের উপর টাইলস বসানো হয়েছে সেই ড্রেন নিয়েই রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
গোয়ালন্দ শহরের জলাবন্ধতা দূর করা ও পানি নিষ্কাশন ত্বরান্বিত করতে ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ করেছে গোয়ালন্দ পৌরসভা। এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে ৭টি ড্রেন নির্মাণ করা হয়। তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কাজ শেষের কথা বললেও খোদ বাজারের মধ্যে থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত ড্রেনের কাজ সম্প্রতি শেষ করা হয়েছে।
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি প্রশস্ত এই ড্রেনের গভীরতা গড়ে ৭ ফুট। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও গোয়ালন্দ পৌরসভার তত্ত্বাধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কেকেআর এন্টারপ্রাইজ এর কাজ হলেও মূলত কাজ করেন গোয়ালন্দ পৌরসভার এক প্যানেল মেয়রসহ গোয়ালন্দের ঠিকাদার।
গোয়ালন্দ বাজারের তোরাই এর দোকান থেকে বাজার রেলগেট পর্যন্ত নতুন রাস্তা সেই সময় ভেঙে ড্রেন করা হয় পরবর্তী সময়ে ড্রেনের পাশ দিয়ে রাস্তা করা হয়। সেসময় জানানো হয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাস্তা ঠিক করে দিবেন কিন্তু পরবর্তী সময় সেই রাস্তার ৩৩৩ মিটার এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট এখানে ১৯৬ মিটার ড্রেনের পাশের রাস্তা ও ড্রেনের উপর ৯৬৬ মিটার টাইলস বসানোর একটি প্রকল্প তৈরি করা হয় আলাদা করে এবং এই কাজের জন্য ৪৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা ধরে কাজটি গোয়ালন্দ উপজেলার সালাউদ্দিন চৌধুরীর “ চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ “ কে দেওয়া হয়।
গত ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর পৌরসভার মেয়র না থাকায় দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী কে না জানিয়ে এবং আর ই রেসিডেন্ট ইন্জিনিয়ার (বিএমডব্লিও এস এস পি) না জানিয়ে কাজ শুরু করে দেন তারাহুরো করে। বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে টাইলস ভেঙে গিয়েছে আবার কোথাও কোথাও লোকজন হাত দিয়ে টাইলস তুলে ফেলেছে আবার ভেঙে যাওয়া টাইলসে সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
প্রধান সড়ক এলাকার বাসিন্দা অধিকাংশ বাসিন্দা বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড থেকে রেলস্টেশন পর্যন্ত। এই সড়কের ড্রেনের কাজ নিয়ে অনেক অভিযোগের পর জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল আর এখন যে টাইলস ব্যাবহার করা হচ্ছে সেগুলো হাত দিয়ে চাপ দিলে ভেঙে যাচ্ছে। একেবারেই নিন্মমানের সামগ্রী ব্যাবহার করা হচ্ছে সেজন্যই এই অবস্থা বলে মনে করে অধিকাংশ স্থানীয় ও দোকানদার।
তবে ঠিকাদার সালাউদ্দিন চৌধুরীকে এব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এভাবেই টাইলস ব্যাবহার করতে হয়। কয়েকদিন গেলে টাইলস শক্ত হবে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ব্যাপারটি শুনেছি এবং তাদেরকে ভালো সামগ্রী ব্যাবহার করে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে বিল করা হবে না। প্রয়োজনে পূনরায় এই কাজ করা হবে।