সাইফুল ইসলাম:
রাজবাড়ী জেলার গোয়ালান্দ উপজেলায় সরকারি কলেজের প্যাডে নোটিশ জারি করে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি নোটিশের কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই প্যাডে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্যাডে অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আইয়ুব আলী সরদারের স্বাক্ষরিত এক নোটিশে কলেজটির সকল শিক্ষক-কর্মকর্তাকে সরকারিকরণের কাজে ব্যয় করার জন্য প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে ২০ জুনের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে অধ্যক্ষের নিকট জমা দেয়ার জন্য বলা হয়।
এ নিয়ে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠলেও বিষয়টিকে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আইয়ুব আলী সরদার। তিনি বলেন, কলেজ সরকারিকরণের জন্য চিঠিপত্র আদান-প্রদান, ঢাকায় যাতায়াত সহ বিভিন্ন অফিসের খরচ মেইনটেইন করার জন্য এ টাকা নেয়া হয়েছে।
এভাবে নোটিশ জারি করে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করা বিধিসম্মত কি’না জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মোঃ আইয়ুব আলী সরদার বলেন, সারাদেশে ৩০০ কলেজ সরকারিকরণ হচ্ছে। আমি অনেস্টলি বলতেছি, এই ধরনের কলেজ সরকারিকরণের জন্য সামগ্রিকভাবে কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন দপ্তরে দিতে হয়। যেকোন কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে জিজ্হাসা করলেই এ কথা জানতে পারবেন। সে হিসেবে আমাদের খরচ অনেক কম।
তিনি আরোও বলেন, এই টাকা আমার একাউন্ট্যান্ট এর কাছে জমা দিয়েছে। এটা ব্যয় করার জন্য শিক্ষক রমেশ কুমার আগারওয়ালা ও বিশ্বজিত কুণ্ডুকে নিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছি। তারা বিভিন্ন সময়ে খরচের খাত দেখিয়েছেন। আমি শুধু একাউন্টস থেকে টাকা তুলে তাদের দিয়েছি এবং হিসাব রেখেছি। বিভিন্ন সময় ঢাকার ডিজি অফিস, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় এ টাকা খরচ করতে হয়। কাকে কি পরিমান দেয়া হয়েছে সেটা জিজ্ঞাসা করলে আমার জন্য একটু বিব্রতকর হয়।
বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক রমেশ আগারওয়ালার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ নিয়ে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।