রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীতে কোরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাটের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের সিংগা নিজাতপুর বাজার সংলগ্ন চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার শেখ ও এই ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আকবর খানের মধ্যে সহযোগীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, দাদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার শেখ,তার ছেলে রুহান শেখ, ভাই হাসান শেখ ও বোন রোজিনা।তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও ব্যবসায়ী আকবর খানের বড় ভাই লুৎফর খান, ভাস্তে শাহরুখ খান ও ভাস্তে শাওন খান গুরুতর আহত অবস্থায় গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কোরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাটের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে গত মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান মো: দেলোয়ার শেখ ও ব্যবসায়ী আকবর খানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে আকবর খান চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে আসলে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই হাসান শেখ গরু জবাই করা ছুড়ি নিয়ে হামলা চালায়।খুন করার উদ্দেশ্যে হাসান শেখ ছুড়ি দিয়ে আকবর খান কে আঘাত করতে গেলে সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদুল ইসলাম রাজু বাধা দেয়। ঘটনা স্থল থেকে আকবর খানকে সরিয়ে দিলে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
চেয়ারম্যান দেলোয়ার শেখের ভাই জাকির শেখ জানান, অস্থায়ী পশুর হাট নিয়ে আকবর খান আমার ভাইকে ফোনে হত্যার হুমকি দেয়। পরে ২০/২৫ জন নিয়ে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। এ সময় দেলোয়ার শেখ, তার ছেলে রুহান শেখ, ভাই হাসান শেখ ও বোন রোজিনাকে কুপিয়ে জখম করা হয়।
আকবর খান বলেন, অস্থায়ী পশুর হাটে রোদ্রের মধ্যে যারা কষ্ট করেছে তাদের টাকা না দিয়ে চেয়ারম্যান একাই আত্মসাৎ করে। এই কথা ফোনে চেয়ারম্যান কে বলায় সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। পরে আমি বাজারে আসলে তার ভাইসহ ৫০/৬০ জন আমার উপর হামলা চালায়। এসময় সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদুল ইসলাম রাজু আমাকে সেখান থেকে সড়িয়ে নিয়ে আসে।এসময় আমার বড় ভাই লুৎফর খান, ভাস্তে শাহরুখ খান ও ভাস্তে শাওন খান কে কুপিয়ে জখম করে তারা।
তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ১০ টার পরে আমার ভাবী ছেলে মেয়ে নিয়ে রাজবাড়ী শহর থেকে গ্রামের বাড়ি আসার পথে চেয়ারম্যানের লোকজন গাড়িতে হামলা করেছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন,খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন পক্ষ থেকে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।