পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুল মালেক রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ কে বলেন- রাজবাড়ী দৌলতদিয়া গেজ স্টেশনে (গোয়ালন্দ উপজেলা) গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি ০.১৫ মিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ০.১৫ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মহেন্দ্রপুর গেজ ষ্টেশন (রাজবাড়ী সদর) পয়েন্টে ০.১১ মিটার হ্রাস পেয়ে ০.৩৯ বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে। সেনগ্রাম গেজ স্টেশন (পাংশা উপজেলা) ০.০৮মিটার হ্রাস পেয়ে ০.১৩ মিটার বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখনও বানভাসি মানুষদের বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এখনও কমেনি পদ্মা পাড়ের বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ- দুর্দশা। রান্না বান্না,গবাদিপশু ও শিশু বাচ্চাদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। দীর্ঘ সময় পানি থাকায় হাত পায়ে ঘা পচড়া সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বানভাসি মানুষেরা। সবকিছু তলিয়ে যাওয়ায় আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে দুর্গতদের।
বন্যার পানি স্থায়ীরুপ ধারন করায় নষ্ট হয়ে গেছে বাড়ি ঘর সহ সব আসবাবপত্র। বাড়ি ঘরে পানি থাকায় অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে এই বন্যার পানিতে। চারিদিক তলিয়ে যাওয়ায় বানভাসিরা পড়েছেন নিজেদের খাবার ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকটে।