রাকিবুজ্জামান রাকিব, গোয়ালন্দ রাজবাড়ী প্রতিনিধি।
বেকারত্ব,কর্মহীনতার অভাবে বিদেশ গমনের ইচ্ছুক সহজ সরল ব্যক্তিদের বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে একটি দালাল চক্র। এ চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বত্র হারা অনেকেই এমনই অভিযোগ ওঠেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ছোটভাকলা ইউনিয়ন ভাগলপুর এলাকার মৃত মো. মনিরুজ্জামান ( সাবেক গোয়ালন্দ কলেজের কেরানি) ছেলে মো.রনি বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাকে ক্রোয়োশিয়া ভিসা জন্য আট লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি রাজি হয়ে ইসলামিক ব্যাংক হিসাব নাম্বারে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেই। বাকী টাকা ভিসা প্রসেসিং শেষে দিতে হবে। প্রায় ছয়মাস পর কিছু কাগজপত্র আমাকে দেয়। সেগুলো নিয়ে আমাকে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য ভারত যেতে হবে এমন টায় জানায় প্রতারক রনি। ভারতে নিয়ে বিভিন্ন এজেন্সি ঘুরে ক্রোয়েশিয়ার দূতাবাসে কাগজপত্র জমা দিতে বললে সে মোতাবেক কাগজপত্র জমা দিই। দীর্ঘ চার মাস ভারতে অপেক্ষার করার পর ভারতে অবস্থিত ক্রোয়েশিয়ার দূতাবাস লিখিতভাবে আমাকে জানায়, তোমার যে সমস্ত কাগজপত্র লোকটা দিয়েছে তা সমস্তই ভুয়া, জাল। দূতাবাসের লিখিত ডকুমেন্টস আমার নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। এই কাগজপত্র চেকিং করলে আরও জানতে পারি একটি বিদেশি কোম্পানি ওয়ার্ক পারমিট দেখানো হয়। অথচ ঐ কোম্পানি সাথে কোন যোগাযোগ ই নেই রনির। এতে অনেক টাকা ক্ষতি পূরণ দিয়ে আমাকে ভারত থেকে বাংলাদেশ ফিরে আসতে হয়।
ইসমাইল হোসেন আরো বলেন ও, আমি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বেঙ্গল গ্রুপের এরিয়া ম্যানজার হিসাবে ভালো একটা বেতনে চাকরি করতাম। এই রনি দালার চক্রের প্রলোভন পরে ও চাকরি হারিয়েছি ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রহস্ত হয়েছি। আমি একা না আমার মত অনেকেই সাথে এমন টা করেছে দালাল চক্রের রনি।
উল্লাস হাসান নামে একজন বলেন, আমাকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে অনেক গুলো টাকা নিয়েছে। ভিসা দিতে পারে নাই। কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকী টাকা ফেরত দিচ্ছে না।
অভিযুক্ত মো. রনি মুঠোফনে বলেন, এই বিষয় আমার কোন মন্তব্য নেই। তবে আমি তাকে ভিসা করে দেওয়া জন্য টাকা নিয়েছি। ভিসা করতে পারি নাই বলে কিছু টাকা ফেরত দিয়েছি তবে পুরোপুরি ক্ষতি পূরণ দেওয়া সম্ভব নয়।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনর্চাজ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, এই বিষয় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত চলছে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।