শিরোনাম
আজ বিশ্ব শিশু অধিকার দিবস জেলা কোর কমিটির সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিনে এসে সাংবাদিকের উপর হামলা ও হত্যার চেষ্টা গোয়ালন্দে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান ইভটিজিংয়ের অভিযোগে সাংবাদিককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হলেন গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, আটক ২ কাল থেকে লাগাতার চলবে মাঠের খেলা: মমতাজ রাজবাড়ীতে খাদ্য সহায়তা ও ক্রাচ বিতরণ করেছে মানবিক সংগঠন এক কাপ চা

শিক্ষক সংকটে গোয়ালন্দে দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ২৩৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

0Shares

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি,

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী সংকট চরম পর্যায়ে পৌছেছে। এতে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়া যেমন বিঘ্নিত হচ্ছে তেমনি পরিবেশ ও চরম নোংরা হচ্ছে। এ সংকট কবে শেষ হবে তা বলতে পারছেন না বিদ্যালয় প্রধানরা।

জানাযায় গোয়ালন্দ উপজেলায় গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুটি সরকারি স্কুল। এই উপজেলার মানুষের আশা আকাংখার জায়গা। কিন্তু দুটো স্কুলেই শিক্ষক ও কর্মচারী সংকটে গেস্ট টিচার দিয়ে চলছে পাঠদান। এই সমস্ত গেস্ট টিচারদের নাম মাত্র বেতন দেওয়া হয়। ফলে তারা বিভিন্ন কলাকৌশলে প্রাইভেট পড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে ফলে আশানুরূপ ফলাফল হচ্ছে না।

গোয়ালন্দ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেবজিৎ কুমার দাশ বলেন, এই বিদ্যালয়ে অনুমোদিত ১২টি শিক্ষক পদের মধ্যে চারটি বর্তমানে শূন্য রয়েছে। বাকী আট জনের মধ্যে ফারুক হোসাইন বিএড প্রশিক্ষণে রয়েছে এবং জাহিদ স্যার বাইরে থেকে আসেন সপ্তাহে দুই একদিন। এজন্য এখানে চারজন গেস্ট টিচার রাখা হয়েছে। এমএলএস পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছে একজন। এবং দুইজন অফিস সহকারী থাকার কথা থাকলে ও একজন ও নেই। ফলে রিটায়ার্ডে চলে যাওয়া একজন অফিস সহকারীকে দিয়ে অফিস চালানো হচ্ছে। এছাড়া সরকারি নাজির উদ্দিন হাইস্কুলের চিত্র প্রায় একই। প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান তিনি নতুন এখানে এসেছেন। দীর্ঘদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানোর কারনে গেস্ট টিচার সহ যেসকল সমস্যা রয়েছে খুব শীঘ্রই তিনি সমাধান করার আশ্বাস দেন।

এছাড়া এমপিও ভুক্ত স্কুল গুলোতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয় সেখানে ছাত্র ছাত্রী অনুসারে পড়াশোনার মান তেমন একটা নাই। উপজেলা প্রশাসনের সামনেই রয়েছে গোয়ালন্দ প্রপার জুনিয়র হাইস্কুল সেখানে সিলেবাস বানিজ্য করে আসছে কয়েক বছর ধরে। সিলেবাসে শুধু পৃষ্টা নম্বর লেখা সিলেবাস বিক্রি করে আসছে। গ্রামার শিক্ষকরা কোম্পানির নিকট মোটা বখশিশ খেয়ে এই সমস্ত বই সাজেস্ট করেন বলে জানাযায়। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, তিনি ঐ কোম্পানিকে এভাবে সিলেবাস দিতে নিষেধ করে ছিলেন তারপর ও তারা এভাবেই দিয়েছেন বলে জানান। এবং তারা আপাতত সিলেবাস বিক্রি করা বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া এই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ছাত্র ছাত্রীর মাঝে কার্ড বিতরণ করেন প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। তার কাছে না পড়লে ফেল করানোাহ নানান ধরনের হুমকি ধামকির অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হাসান সরকারি স্কুল শিক্ষক সংকটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন ইতিমধ্যেই জেলা ডিডি অফিসে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সমস্যা সমাধান হলেও শিক্ষক সংকটের সমস্যা সমাধান হতে সময় লাগবে। বেসরকারি স্কুলের অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন বিভিন্ন সময় তিনি এব্যাপারে শুনে আসছেন। খুব শীঘ্রই এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg