শিরোনাম

রাজবাড়ীতে হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে আসছে সড়কের কার্পেটিং

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ৯৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩

0Shares

রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে কামালপুর হাট ভায়া ১নং বেড়াডাঙ্গা সড়কের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সড়কে কার্পেটিং করার পরদিনই হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শুরু থেকে নিম্নমানের কাজের প্রতিবাদ করলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা হেডকোয়ার্টার থেকে কামালপুর হাট ভায়া ১নং বেড়াডাঙ্গা সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। ২ হাজার ৩৬০ মিটার দীর্ঘ এ সড়ক উন্নয়ন কাজে ব্যয় ধরা হয় ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাজটি পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুফিয়া এন্টারপ্রাইজ। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল কাজটি শেষ করার কথা।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) ১নং বেড়াডাঙ্গা এলাকায় সড়কের কিছু অংশ কার্পেটিং করা হয়। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এলাকার লোকজন সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলে কার্পেটিং উঠে আসে।

এ খবর পেয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গেলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, প্রথম থেকেই ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছেন। তারা সঠিকভাবে কাজ করার জন্য বললেও ঠিকাদার শোনেননি। এসময় তারা এ প্রতিবেদককে সড়কের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টেনে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান।

স্থানীয় যুবক ফাইজুর রহমান নিলয় বলেন, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাস্তা কার্পেটিং করা হয়েছে। একদিন পরই হাত দিলেই কার্পেটিং উঠে আসছে। এভাবে কোন রাস্তার কাজ হতে পারেনা। আমরা একটি সুন্দর রাস্তা চাই।

পারভেজ নামে এক যুবক বলেন, এই রাস্তার কাজে শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে আসছে। রাস্তার কার্পেটিংয়ে নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কারণে হাত দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা এলাকার লোকজন ঠিকাদারকে ভালোভাবে কাজ করতে বললে তিনি কোন কথাই শোনেননা।

আরিদ মণ্ডল নামে আরেক যুবক বলেন, কোন গাড়ি এসে ব্রেক করলে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। আমরা চাই ভালোভাবে আমাদের রাস্তার কাজ করা হোক। যাতে রাস্তাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুফিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক আব্দুস সোবাহানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন রাজবাড়ীর বাইরে আছি। আপনার সঙ্গে পরে যোগাযোগ করবো। এ বলেই ফোনটি কেটে দেন তিনি।’

তবে রাস্তার তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডি রাজবাড়ী সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এলাকাবাসী কি বলছে সেটা আমি জানিনা। আমার রাস্তার কাজ ভালো হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও ভালো হবে। গুণগত মান বজায় রেখেই কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।’

এলজিইডি রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমি কাজটি পরিদর্শন করে দেখেছি, সেখানে কোন অনিয়ম হচ্ছেনা। তারপরেও এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg