শিরোনাম
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে চলন্ত ট্রাকে আগুন কালুখালী প্রকল্প অফিসের সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশে কর্মরত রাজবাড়ী সন্তান নাজমুল নিহত কালুখালীতে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ  গোয়ালন্দে ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার  রাজবাড়ী‌তে ক‌মিউনি‌টি পু‌লি‌শিং ডে’র উদ্বোধন রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইনজীবীর মৃত্যু  গোয়ালন্দে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে বিদেশে নেয়ার নামে প্রতারনার অভিযোগ আদম ব্যবসায়ী রনির বিরুদ্ধে নগরকান্দার বিনোদিয়া বাজারে আগুনে পুড়ে গেছে পাঁচটি দোকান তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার 

কাজী ছালামের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে পড়ানোসহ নানা অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ১১৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

0Shares

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ২২ নভেম্বর
নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার আইন অমান্য করে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া, একই ভলিউম নাম্বার ব্যবহার করে একাধিক রেজিস্ট্রি বই ব্যবহার এবং ডেমি কাগজে ফটোকপি করে কাবিননামার সার্টিফাইড কপি প্রদানের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, প্রত্যেক নিকাহ রেজিস্ট্ররের জন্য নিজ নিজ অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা থাকলেও কাজী আব্দুস ছালাম তার নিজ এলাকা বাদ দিয়ে মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিক সহকারি নিয়োগ দিয়ে মানিকগঞ্জ আদালত চত্ত্বর ও জেলা আইনজীবি ভবন এলাকায় কিছু আইনজীবি ও আইনজীবি সহকারিদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করেন। এ নিয়ে অনুসন্ধানের সময় কাজী আব্দুস ছালাম স্বাক্ষরিত একটি নিকাহ রেজিস্ট্রির ফি প্রাপ্তির রশিদের কপি, কনের জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি এবং আইন বর্হিভূতভাবে ডেমি কাগজে কাবিননামার ফটোকপি করার একটি ভিডিও আসে এই প্রতিবেদকের হাতে। প্রাপ্ত রশিদের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবি ভবন এলাকায় একটি বাল্যবিয়ে রিজিস্ট্র করেন কাজী আব্দুস ছালাম। যার ভলিউম নং- ১০/২২, পৃষ্ঠা- ২৫, মোহরানার পরিমাণ- ২ লক্ষ টাকা এবং ফি প্রাপ্তির রশিদের ক্রমিক নং-২০। এছাড়া ঢাকার ধামরাই উপজেলার বেংরোয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই কনের জন্ম নিবন্ধন সনদে জন্ম তারিখ দেয়া আছে ২০০৮ সালের ২রা নভেম্বর।
ওই কনের পরিবারের লোকজন জানান, মানিকগঞ্জ কোর্ট এলাকায় কাজী ছালামের কাছে গিয়ে বিবাহ পড়ানো হয়েছে। তিনি বিবাহের ডকুমেন্ট হিসেবে একটি রশিদ দিয়েছে।
কাজী আব্দুস ছালাম বলেন, ওই বিবাহ রেজিস্ট্রির ফি প্রাপ্তির রশিদটি তিনি প্রদান করেননি। এক নামে একাধিক ভলিউম অন্য কাজীদের থাকতে পারে, আমার নেই। আমি কোন বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করিনি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার জেড এম ইমরান আলী বলেন, একজন কাজী একই নাম্বারে একাধিক ভলিউম বই ব্যবহার করতে পারেন না এবং ডেমি কাগজে ফটোকপি করে কাবিননামার সার্টিফাইড কপি দেয়ার সুযোগও নেই। আর বাল্যবিয়ে পড়ানোর বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জ সদর উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার লাইসেন্স বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg