স্টাফ রিপোর্টার,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মজনু শেখ (৪৫) নামের এক যুবককে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার উজানচর ইউপির নাছের মাতুব্বর পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মজনু শেখ (৪৫)। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউপির নাছের মাতুব্বর পাড়া গ্রামের আকবর শেখের ছেলে।
নিহতের পিতা আকবর শেখ জানান, তিনি জমিতে পিয়াজ লাগাতে যায়। তার ছেলে নজির শেখ পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষাবাদ করছিল। একই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের জমিতে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার আরেক ছেলে মজনু শেখকে কোদাল ও দা দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তখন তার ছেলে নজির শেখ পাওয়ার টিলার বন্ধ করে তাদের বাধা প্রদান করতে গেলে তাকেও ধারালো কোদাল দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
পরবর্তীতে তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার্ড করেন। সেখানেও তাদের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক হওয়ায় সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নিহতর স্ত্রীর ছোট বোন জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে (আয়শা মেমোরিয়াল) নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মজনু শেখকে মৃত ঘোষণা করেন। ও তার আরেক ভাই নজির শেখ বর্তমান ঢাকা পান্থপথ হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে নিহত মজনু শেখের বাবা আকবর শেখ বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মারামারির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবাই পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এ ঘটনায় গতকাল মারামারির নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। উক্ত মামলার সাথে এখন ৩০২ ধারা যুক্ত হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।