মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০৪ অক্টোবর
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরুল হাসানের বিরুদ্ধে এক বিকাশ ও ফ্রিজ ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই বিকাশ ও ফ্রিজ ব্যবসায়ীর নাম আবু জাফর। সে উপজেলার বাচামারা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
এ নিয়ে গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত অভিযোগ করেছেন নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ৬ জুলাই করোনা মহামারির সময় উপজেলার বাচামারা বাজারে আনসার সদস্যদের নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইমরুল হাসান। এ সময় আবু জাফরের দোকান খোলা পেয়ে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। জরিমানা শেষে আবু জাফরকে গালাগালও করেন। এক পর্যায়ে এক আনসার সদস্যের কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে জাফরকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন ইউএনও ইমরুল হাসান। আবু জাফরের আর্তচিৎকারে তার বড় ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন এবং র্যাব দিয়ে ক্রসফায়ার করিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এ ঘটনায় গুরুতর আহত আবু জাফর চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীর্ঘ ৯ মাস ১৬ দিন পর মারা যায়।
নিহতের ভাই সালাউদ্দিন ঠান্ডু বলেন, ‘মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নামে ইউএনও আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমাকেও মেরে গুরুতর আহত করেছে। আমার ঘাঁড়ের হাড় ভেঙে গেছে। ইউএনও আমার ছোট ভাতিজা ও ভাতিজীকে এতিম করে দিয়েছে। ভয়ে এতোদিন অভিযোগ করতে পারিনি। কিন্তু ভাই মারা যাওয়ার পর ভাতিজা ও ভাতিজীর কথা ভেবে বিচারের জন্য অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও ইমরুল হাসানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শুনেছি সালাউদ্দিন ঠান্ডু নামের এক ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। কিন্ত আমি এখনো অভিযোগের কপি পাইনি। তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না। তবে শুধু এটুকু বলি, মোবাইল কোর্টে তাকে জরিমানা করানোর পর সে বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে তদবীর করানোর চেষ্টা করে। আমি তাদের অন্যায় আবদার মেনে না নেয়ায় আমার বিরুদ্ধে এতদিন পর মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।