ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চোখ ওঠার সমস্যা। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। গরমে আর বর্ষায় চোখ ওঠার প্রকোপ বাড়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটিকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বলা হয়। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ায় দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
চোখ ওঠার কারণ :
চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে চোখ লাল হয়ে যায়। চোখ ফুলে যায়, চোখে ব্যথা হয়। চোখে খচখচে অনুভূত হয়। চোখ ওঠার প্রধান কারণ হতে পারে ভাইরাস। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।
চোখ ওঠার সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি সেরে ওঠার জন্য কিছু খাবারও খেতে হবে। চোখের নানা সমস্যায় উপকারী কিছু খাবার আমাদের হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
চলুন জানা যাক চোখের জন্য কোন খাবারগুলো উপকারী-
আমলকী
আমলকী মুখের স্বাদ বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যর জন্যও উপকারী। এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’। চোখ ওঠা থেকে শুরু করে রেটিনার কোষ ঠিক করে দিতে পারে এই ফল। তাই শুধু চোখ ওঠা সমস্যায়ই নয়, নিয়মিত খান আমলকী। এতে সবসময়ই উপকারিতা পাবেন।
কিশমিশ
কিশমিশে পর্যাপ্ত পলিফেনলস থাকায় তা শরীর থেকে ফ্রি র্যাডিকেলস দূর করে। সেইসঙ্গে এটি চোখের মাসলের উন্নতিতেও সাহায্য করে। চোখ ভালো রাখতে চাইলে তাই নিয়মিত কিশমিশ খেতে হবে। রাতে কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেলেও উপকার পাবেন।
বিট লবণ
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চোখ ভালো রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে বিট লবণ। বিট লবণ চোখের জন্য ভালো। এই লবণে আছে এমন কিছু উপাদান যা চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে কাজ করে। তাই চোখ ওঠার সমস্যা দেখা দিলে খাবারে বিট লবণ যোগ করতে পারেন। তবে তা অতিরিক্ত খাবেন না। কারণ অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ত্রিফলা
তিন ফলের মিশ্রণ হলো ত্রিফলা। আমলকী, হরীতকী ও বহেরা থাকে এতে। এই ত্রিফলা নানা রোগ দূরে রাখতে কার্যকরী। ত্রিফলার সঙ্গে সম পরিমাণ মধু ও ঘি মিশিয়ে খাবেন। তবে ত্রিফলা চূর্ণ করে বেশিদিন রেখে খাবেন না।
মধু ও ঘি
মধু কিংবা ঘিয়ের স্বাদ পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। চোখ ওঠা সমস্যায় এই দুই খাবার দ্রুত কাজ করে। চোখের জন্য এই দুই খাবার ভীষণ উপকারী। মধুতে থাকে প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিন ও মিনারেল যা চোখকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ঘি খেলেও উপকার মেলে দ্রুত।