মোশারফ হোসেন কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কণ্ঠগরজা এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
উত্তোলিত বালু পাইপের সাহায্যে রাখা হচ্ছে কণ্ঠগরজার তিনরাস্তা মোড়ে। সেখান বেচাবিক্রি শেষে ড্রাম ট্রাকে করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এতে একদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে ড্রামে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
তবে চেয়ারম্যানের বলছেন, বালু উত্তোলনের স্থানটি পাবনা জেলার। পাবনা জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছেন। ইজারাদারের নিকট থেকে বালু কিনে এনে বিক্রি করছি আমি।’
গত সোমবার বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, পদ্মা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে রাখা হচ্ছে কণ্ঠগরজা তিনরাস্তা মোড়ে। সেখান থেকে এক্সেভেটর দিয়ে বালু কেঁটে ড্রাম ট্রাকে ভরা হচ্ছে। ট্রাক গুলো বালু নিয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। এতে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। অন্যদিকে ড্রামে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা। প্রশাসনের ভূমিকাও নিরব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন ‘ চেয়ারম্যান প্রভাবশালী। ভয়ে কথা বলা যায়না। প্রভাব খাঁটিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। বালু বিভিন্ন এলাকায় নেওয়া হচ্ছে ড্রাম ট্রাকে। এতে গ্রামীণ রাস্তা ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।’
এবিষয়ে আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকমল হোসেন বলেন, ‘ আমি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিনা। স্থানটি পাবনার জেলা প্রশাসন ইজারা দিয়েছেন। আমি ইজারাদারের নিকট থেকে বালু কিনে বিক্রি করছি।’
খোকসা উপজেলা সহাকারী কমিশার (ভূমি) মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘ বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি ব্যাপারটি আমার (খোকসা) এলাকায় হয়ে থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্যাপশনঃ পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পাইপের সাহায্যে জমা রাখা হচ্ছে। ছবি গত সোমবার বিকেলে খোকসার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের কণ্ঠগরজা এলার তিনরাস্তা মোড় থেকে তোলা।