সাকিবের রেকর্ডটি যে কতোটা স্পেশাল, অন্য অলরাউন্ডারদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তা বোঝা সম্ভব। এই রেকর্ডে তার ধারে কাছেও কেউ নেই।
প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও ব্যাট হাতে দারুণ ছিলেন সাকিব আল হাসান। ১৫ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ঝড়ো ২৯ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিং দুর্দশা যায়নি বাংলাদেশের, এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ হারে ৩৫ রানে। এ ম্যাচেও ব্যতিক্রম সাকিব। খেলেছেন ৬৮ রানের দারুণ ইনিংস। আর এই ইনিংস খেলার পথে অনন্য এক রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
হার না মানা ইনিংসটি দিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেছেন সাকিব। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মাইলফলকটি ছোঁয়া টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এখনও এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়া কম গর্বের নয়। সংক্ষিপ্ততম এই ফরম্যাটে ২ হাজার বা এর চেয়ে বেশি রানই করেছেন যে কেবল ১৭ জন। তবে এরচেয়েও বড় একটি রেকর্ড গড়েছেন সাকিব, যে রেকর্ডটি কেবল তারই। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২ হাজার রান ও ১০০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
রেকর্ডটি যে কতোটা স্পেশাল, অন্য অলরাউন্ডারদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই তা বোঝা সম্ভব। এমন ডাবল যে আর কারও নেই, সেটা না বললেও হচ্ছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক হাজার রান ও ৫০ উইকেট নেওয়া অলরাউন্ডারই মোটে ৭ জন। তালিকায় সাকিবের সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ হাফিজ, কেভিন ও’ব্রায়েন, শহীদ আফ্রিদি, ডোয়াইন ব্রাভো, মোহাম্মদ নবী ও থিসারা পেরেরা।
এদের মধ্যে আফ্রিদি, হাফিজ, ব্রাভো ও পেরেরা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। ও’ব্রায়েন দলে নিয়মিত নন, সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে। আফগান অলরাউন্ডার নবী খেলতে থাকলেও সাকিবের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছেন। নবীর রান ১ হাজার ৬২৮, উইকেট ৭৬টি। সব মিলিয়ে রেকর্ডটি লম্বা সময়ের জন্যই সাকিবের দখলে থাকতে যাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়া সাকিব এখন এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। বাঁহাতি এই স্পিনারের উইকেট ১২০টি, রান করেছেন ২ হাজার ৫। ১১১ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। ১০৯ উইকেটের মালিক আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান তিন নম্বরে। প্রথম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট নেওয়া লঙ্কান কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ১০৭ উইকেট নিয়ে চার নম্বরে আছেন।
সূত্রঃ tbsnews.net/