তাওহিদুল ইসলাম ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
সময়ে-অসময়ে নানান আলোচনা ও সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশিরভাগ আলোচিত হয়। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই, আমরা তা স্বীকার করতে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা হয়। পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের জানমাল হেফাজতের দায়িত্ব পুলিশের। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিরলস সেবা ও মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। তেমনই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম।
যিনি নিজেকে কখনো ওসি হিসেবে নয়, জনগণের একজন সেবক হিসাবে অতিসাধারণ বেশে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেন। ওসি শহিদুল ইসলাম মধুখালী থানায় যোগদানের পর পাল্টে গেছে থানা ও থানা এলাকার চিত্র। দমন করেছেন থানায় দালালদের দৌরাত্ম্য। সেবা নিতে আসা লোকজন টাকা ছাড়াই এখন সাধারণ ডায়েরি (জিডি), অভিযোগ ও মামলা লেখা বা অন্তর্ভুক্ত করতে পারছেন। বিভিন্ন সময়ে অসহায়-বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেছেন তিনি। শুধু তাই নয় মধুখালী থানাতে যোগদানের পর থেকেই হয়েছেন ফরিদপুর জেলার তিন তিন বারের সেরা ওসি। এমন প্রশংসনীয় কাজের কারণে তিনি মধুখালীবাসির কাছে আস্থাভাজন হয়ে ওঠেছেন ও সর্বস্তরে মানুষের মুখে মুখে তার প্রশংসা।
মধুখালীকে মাদকমুক্ত রাখতে ওসি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে রিক্সা চালক মালেক হত্যাকান্ড উদঘাটন ও বিভিন্ন সময়ে কুখ্যাত কয়েকটি ডাকাত দলকে গ্রেফতার করা সহ অনেক মাদকাসক্তকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠিয়ে তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোয় তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন। এছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন থেকে একাধিক জমি সংক্রান্ত বিরোধের নিষ্পত্তি ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। মানবিক এই কর্মকর্তা ২৫ এপ্রিল ২০২১ সালে ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই জেলার তৃতীয় বারের মতন শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক মাদকসেবি বলেন, আমি দীর্ঘদিন মাদকের সাথে জড়িত ছিলাম আমি শুনেছি মধুখালী থানার ওসি স্যার অনেক ভালো মানুষ তাই আমি নিজেই মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিই। আল্লাহর রহমতে আমি এখন অনেক ভালো শুধু তাই নয়, আত্মসমর্পণ করার পর থেকে ওসি স্যার আমাকে সার্বিক সহযোগিতাও করেছেন। সারাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা ও মহামারিতে সরকারি নির্দেশনা পালনে সাধারণ মানুষদের মাইকিং করে সর্তকতামূলক নির্দেশনা দেওয়া সহ জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারের জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এই কর্মকর্তা। মানবিক এসব কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানো ও জনবান্ধব পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করার জন্য পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেছি। যতদিন বাঁচবো মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। পুলিশের ভাবমূর্তি ও ইমেজ রক্ষা করবো।