স্টাফ রিপোর্টার,
পদ্মা-যমুনা নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ৪ ও ৫ নাম্বার ঘাটের এক-তৃতীয়াংশ তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট দুটি বন্ধ রেখেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ফলে দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে পাঁচটি সচল ছিল। পদ্মা-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে ৪ ও ৫ নম্বর ঘাটের সড়ক ও পন্টুনের ওপর পানি উঠতে থাকে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে ৩, ৬ ,ও ৭ নং ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করানো হচ্ছে। ৭নং ঘাটের সংযোগ সড়ক ও পন্টুনের কিছু অংশ তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে সরেজমিনে ঘাট এলাকা গিয়ে দেখা যায়, ৩টি ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করানো হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত দীর্ঘ ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে ছয় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক যাত্রীবাহী যানবাহন। যানজটে আটকা পড়ে গাড়ির চালক ও যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকায় যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী খোকন বলেন, ঢাকায় যাওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে আটকে আছি। খাবার,পানি, টয়লেটসহ চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দৌলতদিয়া ৪ ও ৫ নং ঘাট তলিয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সাময়িক সময়ের জন্য ঘাট ২টি বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য এ নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাট সংকটের কারণে যানবাহনের এই দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে।