নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মৃধা ডাঙ্গা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রাথমিব বিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগে প্রতিবেশির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী মো: জহির রায়হানের প্রতিবেশি বরখাস্তকৃত সেনাসদস্য মোঃ সালাউদ্দিন মৃধা ও তার ছেলে সিয়ামের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বসতবাড়ীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। বিবাদীরা জহির রায়হানের বসত ঘরের পিছনে জমিতে মাটি দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে এবং সুপারী গাছ দখল করে নেয়। এছাড়া তার বসত ঘরের পিছনে পানি বাহির করার জন্য লাগানো পাইপ ভেঙ্গে ফেলে। সেসময় পাইপ ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদীরা জহির রায়হানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালা করে। এর প্রতিবাদ করলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার শাবল ও কুড়াল নিয়ে তাকে খুন করবে বলে হুমকি দেয়। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা জহির রায়হান ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ভুক্তভোগী মো: জহির রায়হান বলেন, আমার বসত বাড়ির জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে সালাউদ্দিন ও তার ছেলে মিলে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
সে অস্ত্র চালাইতে জানে বলে আমাকে গুলি করার হুমকি এবং বিভিন্ন ধরনের মামলা হামলা করে হয়রানি করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
তারা শাবল ও কুড়াল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার প্রাণনাশের হুহকি দিয়েছে। আমি এখন স্ত্রী সন্তান নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোঃ সালাউদ্দিন মৃধা বলেন, জহির রায়হান সম্পর্কে আমার ভাগ্নে হয়। বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ আছে এটা ঠিক আছে। তবে প্রায় একবছর আগে জমি পরিমাপ করে এর সমাধান করা হয়েছিল। কিন্ত তারা সেটা না মেনে আমার জায়গার উপর দিয়ে পাইপ বসিয়েছে। আমি পাইপ ভাঙ্গিনি, শুধু খুলে রেখেছি এবং একজায়গায় বসে এর সমাধান করতে বলেছি। তারা প্রতিনিয়তই বিভিন্নভাবে আমাকে ভয়-ভীতি দেখায়। তারা বার বার ভয়-ভীতি দেখানোর পর আমি আত্মরক্ষার্থে শুধুমাত্র একটি কাঠের বাটাম নিয়ে এর প্রতিবাদ করেছি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়ালন্দ থানার উপ-পরিদর্শক মো: মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।