মোশারফ হোসেন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই নদে ভাগিনি মিমের লাশ উদ্ধারের পর একই এলাকা থেকে এবাব খালা চামেলী খাতুনের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজের প্রায় সাত ঘণ্টা পরে সোমবার সন্ধা ৬ টা বেজে ৫৫ মিনিটে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরআগে বিকেল পৌণে ৫ টার দিকে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদ থেকে ভাগিনি মিম খাতুনের (১৩) লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এঘটনা ঘটে
নিহত মিম ওই এলাকার গাফ্ফার মোল্লার নাতনি ও খোকসা উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের দুধসারি গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে এবং চামেলী গাফফার মোল্লার মেয়ে ও একই ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের তরিকুল রহমানের স্ত্রী।
এতথ্য নিশ্চিত করেছে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পরিদর্শক বখতিয়ার আহমেদ। তিনি বলেন, সন্ধা ৬ টা বেজে ৫৫ মিনিটে নিখোঁজ খালা চামেলীর লাশ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। এর আগে বিকেল পৌণে ৫ টার দিকে ভাগিনি মিমের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সুত্রে, সোমবার দুপুর ১ টার দিকে জিলাপীতলা এলাকা সংলগ্ন গড়াই নদে মিম, তাঁর খালা চামেলী, নানী রাজিয়া (৫৫) ও মামাতো বোন নীলা (১২) গোসল করতে যায়। গোসলের সময় সাঁতার কাটতে গিয়ে নিঁখোজ হয় মিম। এসময় মিমকে খুঁজতে গিয়ে নানী, খালা ও মামাতো বোন নিঁখোজ হয়। স্থানীয়রা টের পেয়ে নানী ও খালাতো বোনকে উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরপর নিঁখোজের প্রায় ৪ ঘণ্টা পরে বিকেল ৪ টা ৪৫ মিনিটের দিকে মিমের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। আর নিখোঁজের প্রায় সাত ঘণ্টা পরে একই এলাকা থেকে সন্ধা ৬ টা বেজে ৫৫ মিনিটের দিকে খালা চামেলীর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ গুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস।
সদকী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর নজরুল ইসলাম বলেন, মেয়ে, খালা, বোন ও নানী গোসল করতে যায় নদে। এসময় মিম ডুবে গেলে খুজতে গিয়ে খালা চামেলী নিঁখোজ হন। পরে ডুবন্ত দজনের লাশ পাওয়া গেছে।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ার বলেন, গোসল করতে গিয়ে দুইজন নিঁখোজ ছিলেন। স্থানীয়দের সহযোগীতায় মিম নামের একজনের লাশ পাওয়া গেছে। চামেলীকেও মৃত উদ্ধার করা হয়।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গোসল করতে গিয়ে দুইজন নদে ডুবে যায়। পরে নিঁখোজ দুজনের লাশ পাওয়া গেছে।