সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,
২৪ এপ্রিল মানিকগঞ্জে সিংগাইরে নাবালিকা কন্যাশিশুকে জোরপূর্বক অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মো: বাদশা মিয়া ওরফে হালিম বাদি হয়ে সাত জনকে আসামী করে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মামলা উঠিয়ে নিতে মামলার বাদিকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের আসামীরা সজীবের সাথে পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ (১২) এক নাবালিকা মেয়ের বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব প্রতাখান করায় অন্যান্য আসামীরা সেই নাবালিকাকে জোরপূর্বক অপহরণ করার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় ওই শিশুটি জামাকাপড় বানানোর জন্য দর্জি বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলে পথিমধ্যে রাস্তায় বিলের পাড়ে ফাকা জায়গায় উৎপেতে থাকা আসামীরা জোরপূর্বক অপহরণ করিয়া অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে।
মামলায় রামকান্তপুর গ্রামের সজিব (২২), রাকিব (২৩), জনি (২৫), গর্জন (৪৭), হজা (৫০), রমজান (৫৩) ও ইউসুফ (৬০) কে আসামী করে মামলা করা হলেও শুধুমাত্র মামলার প্রথম আসামী সজিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদি মোঃ বাদশা মিয়াকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
মামলার বাদি মো: বাদশা মিয়া ওরফে হালিম বলেন, ‘সাতজন আসামীর মধ্যে মাত্র একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ। ওই আসামীরা আমাকে নানা রকম ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আসামীরা প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, এই মামলায় আমাদের কিছুই হবে না। মেয়ে অপহরণের বিচার চাইতে গিয়ে আমরা এখন শঙ্কার মধ্যে আছি। ’
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক মো: শাহজালাল মিয়া জানান, মামলায় একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আদালতে চার্জশীট প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে চার্জশীট দেয়ার পর আমাদের আর কিছু করার থাকে না, যা করার আদালত করবে।