অটোবাইকের লাইসেন্স পেতে গুণতে হচ্ছে লাখ টাকা

ষ্টাফ রিপোর্টার | রাজবাড়ী টেলিগ্রাফ / ২১০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

0Shares

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,

মানিকগঞ্জ পৌরসভার কার্যালয়ে লাইসেন্স নবায়নের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যাটারি চালিত অটোবাইক চালক ও মালিকরা। একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ পৌর অটোবাইক মালিক-শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে তাঁরা এসব কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে অটোবাইক চালক ও মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পুরাতন নিবন্ধিত অটোবাইক নবায়ন না করে উৎকোচ নিয়ে নতুন করে অটোবাইকের নিবন্ধন করা হচ্ছে।

হ্যালোবাইক চালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মানিকগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ পৌর এলাকায় যাত্রী পরিবহনের জন্য ৫৫০টি অটোবাইকের নিবন্ধন করে। নিবন্ধনকৃত প্রতিটি অটোবাইককে নম্বর প্লেট দেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এসব নিবন্ধনের নবায়ন ফি বাবদ ৫৫০ টাকা নেওয়া হয়। শর্ত অনুযায়ি প্রতিবছর এসব যানকে নবায়ন করতে হবে। তবে গত বছরের অক্টোবর মাসে নিবন্ধিত এসব অটোবাইক নবায়ন না করে নতুন অটোবাইক নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় পৌর কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন ভূক্তভোগী অটোবাইকচালক ও মালিকেরা।

এরপর গত বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতের বিচারক মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ মো. ফাহিম ফয়সাল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুরাতন লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোবাইকের নবায়নের আদেশ দেন। তবে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে নতুন অটোবাইক নিবন্ধন শুরু করে পৌর কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে পুরাতন অটোবাইক নিবন্ধনের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট, বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে চালক ও মালিকেরা।

মানিকগঞ্জ পৌর অটোবাইক মালিক-শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মো. হযরত আলী বলেন, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে পৌর কর্তৃপক্ষ নতুন করে নিবন্ধন করা শুরু করেছে। ৫৫০ টি হ্যালোবাইক নিবন্ধনের জন্য পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডের নয় জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের তিনজন নারী কমিশনারের প্রত্যেককে ৩৪টি করে ইজিবাইক নিবন্ধন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অটোবাইকগুলো মেয়র নিজেই নিবন্ধনের জন্য রেখেছেন।

অটোবাইক নিবন্ধন করতে অনিয়মের অভিযোগ করে হযরত আলী আরও বলেন, প্রতিটি অটোবাইক নিবন্ধনের জন্য ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ আদায় করা হচ্ছে। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারলে পুর্বে নিবন্ধিত অটোবাইক বাদ দিয়ে নতুন অটোবাইককে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌর মেয়র মো. রমজান আলী বলেন, শহরে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পৌর পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাকা নিয়ে নিবন্ধনের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, অটোবাইক নিবন্ধনের টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়। এই অভিযোগের প্রমাণ পেলে সংস্লিষ্ট কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments


এ জাতীয় আরো খবর
NayaTest.jpg