স্টাফ রিপোর্টার,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজ্জ্বল এক ফুটবল খেলোয়াড় এবং সংগঠকের নাম মো. সাইদুল ইসলাম। তিনি তৃণমূল পর্যায়ের কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলার জন্য যা করেছেন, তা বাংলাদেশের খেলাধুলার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়েই বেঁচে থাকবেন।
বর্তমান খেলাধুলার ক্ষেত্রে কিশোর ও তরুণদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ও বিভিন্নভাবে সমাজে বিত্তশালীদের কাছ থেকে হাত পেতে ফুটবল ক্রয় জার্সি, প্যান্ট, হুজ, সিঙ্গগাড প্রদান সহ গোয়ালন্দ উপজেলায় এক একটি চৌকস খেলোয়ার গড়ার কারখানা এখনো চালু রেখেছে। তৃণমূলে পড়ে থাকা ফুটবল পাগল সংগঠক মোঃ সাইদুল ইসলাম পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ফুটবলের ভাবনা ভেবে নিজের ঘুম হারাম করে দিনের পর দিন সবুজ মাঠের নেশায় ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করে চলেছেন। তিনি প্রত্যন্ত অজ পাড়াগাঁ উপজেলা জেলা সহ বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ টিরও বেশি জেলায় একজন ফুটবলার হিসেবে বিচরণ করে বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। এবং বিভিন্ন জেলায় নিজ একাডেমির খেলোয়ারদের ক্যারিয়ার গঠনে বেশ উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। এমনকি ফুটবলের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থেকেই তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড় দের নিয়ে ২০০৮ সালে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমি যেখানে কিশোর ও প্রতিভাবান তরুণদের করতজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। কিশোর ও প্রতিভাবান তরুণ দের মাঠমুখী করতে ও ভালো মানের খেলোয়াড় গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থে এই ফুটবল প্রেমিক মানুষটি। যেখানে সকল স্তরের ফুটবলাররা বিনা খরচে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিতে পারে। ইতিমধ্যে এই একাডেমীর প্রশিক্ষিত কয়েকজন খেলোয়াড় জেলার দাপটের সাথে ফুটবল খেলে যাচ্ছেন, এবং এই একাডেমির ছাত্র রাজবাড়ী জেলা দলের হয়ে খেলছেন। কৃতি ফুটবলার মো. সাইদুল ইসলাম খেলোয়াড় এবং পরিচালক হিসেবে প্রতিদিন নিজে মাঠে উপস্থিত থেকে ফুটবলারদের প্রতি খেলায় উৎসাহিত করে যাচ্ছেন। তার এই অদম্য ফুটবল পেশাদারিত্ব তাকে গোয়ালন্দ উপজেলার সফল সংগঠক হিসেবেও যথেষ্ট পরিচিতি এনে দিয়েছে।
ফুটবলার সাইদুলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফুটবল খেলাকে তৃণমূলের সবুজ মাঠে ব্যক্তিগতভাবে এবং গোয়ালন্দ ফুটবল একাডেমির মত সাংগঠনিক ভাবে জিইয়ে রেখেছেন। তাদের দিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সহ শীর্ষ পর্যায়ের সংগঠকদের নজর দিতে হবে। এমনকি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ও স্থায়ী প্রশাসন দ্বারা তাদের আর্থিক প্রণোদনা সহ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেয়া হলে তৃণমূল থেকে শত শত ফুটবলার দেশের জন্য তৈরি করা সম্ভব। তিনি আরো বলেন, ফুটবলই আমার ধ্যান এবং ফুটবলই আমার জ্ঞান। আমি আমৃত্যু ফুটবলের জন্য কাজ করে যেতে চাই।