স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমারখালীতে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া গ্ৰামে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও ভয়ে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা করতে পারনি ভুক্তভোগী পরিবারগুলো । জানা যায়, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বেতবাড়ীয়া গ্ৰামে পরাজিত মেম্বার সোবহান কে ভোট না দেওয়ায় এমন বাড়ী ভাংচুর ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় ১ জন আহত হয়েছে। আহতদের কুমারখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিসহ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বেতবাড়ীয়া গ্ৰামের আব্দুল রাজ্জাক জানান, মোঃ সোবাহান, পিতা-মৃত লালচাঁদ ফকির, আবু দাউদ, পিতা-মৃত খেদমত আলী, আবু সাঈদ, পিতা- আবু দাউদ, রমজান আলী, আরসেদ , উভয় পিতা- মৃত হাফিজ উদ্দিন শেখ, রাজিব পিতা- আরশেদ, মোঃ জুয়েল পিতা মোঃ রমজান শেখ, রবিউল হোসেন, পিতা মৃত মসলেম শেখ, মোঃ জিয়া , পিতা- মোহাম্মদ শেখ, আব্দুল মালেক আব্দুল, আব্দুল খালেক, উভয় পিতা- মানিক শেখ, মোঃ কোরবান, পিতা মৃত কিয়ামদ্দিন শেখ, মোহাম্মদ আল-আমিন, পিতা- মোঃ নুর আলী শেখ, আব্দুল আওয়াল, মোঃ শরিফ, উভয় পিতা দুলাল শেখ, মোঃ মকুল শেখ, মোঃ রবিউল শেখ উভয় পিতা- আব্দুর রহিম। মোঃ ওলিদ শেখ, পিতা মৃত ইয়াদ আলি শেখ, সর্ব সাং- বেতবাড়ীয়া। পরাজিত মেম্বার সোবহান কে আমরা ভোট না দেওয়ায় এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে সোবহান ও তার লোকজন ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বেকি, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ও লাঠি ও কাঠের বাটাম ইত্যাদি দ্বারা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়ীতে অবৈধ প্রবেশ করে। এই সময় আমাকে খুঁজতে থাকে এবং গালিগালাজ করতে থাকে সুবাহান ও তার লোকজন। আমার স্ত্রী রাবিয়া খাতুন তাদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সোবাহানের হুকুমে আমার শোবার ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার স্ত্রীর একজোড়া স্বর্ণের দুল যার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। নগত ১২ হাজার টাকার জোরপূর্বক নিয়ে নেয় এবং তারা আমার ঘরে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙ্গা ফেলে আমার স্ত্রী উপর হামলা করে। তাদের হাতে থাকা হাসুয়া বেকি লোহার রড শাবল দিয়ে আমার ঘরের টিনের বেড়া দরজা জানালা ভাংচুর করে।
আমার ঘরের পাশে প্রতিবেশী আব্দুল মজিদের বাড়ি অবৈধ প্রবেশ করে আব্দুল মজিদের স্ত্রীর উপরে বাঁশের লাঠি দিয়ে ও কাঠের বাটাম দিয়ে আঘাত করে। তাদের হাতে থাকা হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আব্দুল মজিদের ঘরে প্রবেশ করে তার ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এবং ড্রেসিং টেবিলের থাকা গরু বিক্রির এক লক্ষ টাকা নিয়ে নেয় তারা।
তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল , বাঁশের লাঠি দিয়ে আব্দুল মজিদের আর একটি টিনের ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে। এই সময় আমার স্ত্রী ও মজিদের স্ত্রীর চিৎকারে সুবাহান ও তার লোকজন চলে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায় যদি কাউকে জানাস বা থানায় খবর দিস তাহলে তোদের জানে মেরে ফেলবো। এই মুহূর্তে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছি। তবে চরম আতংকে রয়ছি যে কোন সময় আবার হামলা হতে পারে।
অভিযুক্ত সোবহান বলেন, আমি বা আমার কেউ এই ঘটনায় জড়িত না।
এই বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।