লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিশাল বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ বাংলাদেশিসহঅন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। খবর বিবিসির।
নিহত দুই বাংলাদেশির মধ্যে একজন স্পেনের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সেরি ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, “এখন পর্যন্ত দুইজন বাংলাদেশি মারা যাওয়ার খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পেরেছি আমরা।” নিহতদের মধ্যে একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেহেদি হাসান, অপরজন মাদারীপুরের মিজান।
লেবাননের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বলেছেন, অত্যন্ত বিস্ফোরক রাসায়নিক পদার্থের গুদামে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই বিস্ফোরণ দুর্ঘটনা। পরিকল্পিতভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়নি। তারা বলছেন গুদামে ছয় বছর ধরে মজুত রাখা অত্যন্ত বিপদজনক বিস্ফোরক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব উঠেছে, এটি ইসরায়েল কিংবা আমেরিকার পারমাণবিক হামলা। এছাড়া আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে ইসরায়েল আর আমেরিকাকে দোষারোপ সেখানকার পার্টিজান বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব এই ঘটনাকে বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন এক টু্ইট বার্তায় বলেছেন কোন গুদামে ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের মত বিস্ফোরক অনিরাপদভাবে মজুত রাখার বিষয়টি “অগ্রহণযোগ্য”।
বুধবার মন্ত্রিসভার বিশেষ একটি বৈঠক ডেকেছেন প্রেসিডেন্ট আউন।
বুধবার থেকে তিনদিনের জন্য লেবাননে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক পালন করা হবে।